কালিম্পং: হাত বাড়ালেই সবুজ পাহাড়। গায়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া শিরশিরানি ঠান্ডা হাওয়া অনবরত বয়ে চলেছে।নীচে পাহাড়ের গভীর খাদ ধরে এগিয়ে চলেছে হিমশীতল রুংডুং নদীর শীর্ন ধারা।ইতিউতি অচেনা পাখির কলতান। এমনই এক শান্ত পরিবেশে গরুবাথান ব্লকের নোয়াম বন বস্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হলো হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেন্চার ফাউন্ডেশন( ন্যাফ)র ৩৫ তম প্রকৃতি পাঠ শিবির।
বুধবার দুপুরে জাতীয় পতাকা উত্তলোনের মধ্যে দিয়ে এই শিবিরের উদ্বোধন করেন বন দপ্তরের মুখ্য বনপাল ( বন্যপ্রানী বিভাগ,উত্তরবঙ্গ) উজ্জ্বল ঘোষ।শিবিরের উদ্বোধন করে উজ্জ্বল বাবু বলেন, পুঁথি গত শিক্ষার বাইরে আগামী পাঁচ দিন ধরে আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পরিবেশের কুপ্রভাব সম্বন্ধে সচেতন হবে। শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি রোমাঞ্চকর কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।যা আগামী দিনে সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। এদিকে এবারের শিবির সম্বন্ধে বলতে গিয়ে ন্যাফের কো অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫-১৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়ে, গাইড, এসকর্ট মিলিয়ে মোট ১৭৫ জনকে নিয়ে এবারের শিবির শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।অনিমেষ বাবু বলেন, আগামী প্রজন্মের হাতেই পরিবেশের সুরক্ষা নির্ভর করছে। আগামী পাঁচদিন একটানা আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা এই পদ্ধতিতে প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে দায়িত্বশীল মানুষ তৈরির চেষ্টায় আয়োজিত ন্যাফের শিবিরে একাধিক কোর্স করানো হবে। ঐশিকি কর,কুনাল রাঠি নামে শিবিরে অংশগ্রহন কারী দুই স্কুল পড়ুয়া জানিয়েছে,প্রত্যেক বছর শিবিরের এই কটা দিনের জন্য তারা অধীর আগ্রহে বসে থাকে। প্রকৃতির মাঝে থেকে গাছপালা, পশুপাখি, নদী পাহাড় চেনার সুবর্ণসুযোগ তারা কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায় না।বারবার এই শিবিরে অংশগ্রহন করে নিজেদের আরো অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে চায় কুনাল এবং ঐশিকি।