ময়নাগুড়ি, ২৭ ডিসেম্বরঃ ধারালো অস্ত্র এবং বাঁশ দিয়ে নিজের মাকে খুন করলো ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের উল্লাডাবড়ি এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। জানাগিয়েছে মৃত বৃদ্ধার নাম মায়ারানি মন্ডল। অভিযুক্তের নাম কৃষ্ণ মন্ডল।
জানাগিয়েছে, এদিন সকালে কৃষ্ণ বাঁশ এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত নিজের মায়ের মাথায় আঘাত করতে থাকে। সাথে সাথে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পরেন মায়ারানি মন্ডল। এরপরে স্থানিয় বাসিন্দারা এসে মায়ারানী মন্ডলকে কোনোক্রমে উদ্ধার করে ৷ সাথে সাথে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। ঘটনারপর স্থানিয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত কৃষ্ণকে গাছের সাথে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। স্থানিয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্বামী মারা যাবার পর দুই ছেলে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন মায়ারানী দেবী। দুই ছেলের মধ্যে কৃষ্ণ বড়। দীর্ঘদিন থেকে কৃষ্ণ মানষিক রোগে ভুগছেন বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা৷ এর আগেও কৃষ্ণ তার মাকে খুনের চেষ্টা করেছে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বামাপদ সরকার বলেন, এদিন মোটা বাঁশ দিয়ে কৃষ্ণ তার মায়ের মাথায় আঘাত করে দা হাতে নিয়ে রাস্তায় ঘুরছিল। স্থানীয়বাসিন্দারা সবাই মিলে পেছন থেকে ধরে ফেলে গাছের সাথে বেধে দেয়। তা না হলে আরো বড় ঘটনা ঘটতে পারতো।
এলাকার আরেক বাসিন্দা যাদব সরকার জানান, প্রতিবেশিদের কারোর সাথেই তেমন কথা বলতো না কৃষ্ণ৷ এদিন তার মায়ের মাথায় বারবার আঘাত করে তার পাশেই দাড়িয়ে ছিল সে।
এদিকে মৃত দেহটি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়৷ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।