রাজাডাঙা : শনিবার রাজাডাঙা কাঠালগুড়ী মাদ্রাসা,প্রাঙনে সারা ভারত কৃষকসভার জলপাইগুড়ী জেলা কমিটির ৩৭ তম সম্নেলনের প্রকাশ্য সম্মেলনে একথা বলেন সারা ভারত গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য দেবলীনা হেমব্রম। তিনি বলেন বিজেপি দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। জাত ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে।দেশের বেকার সমস্যার সমাধানে তার কোন চিন্তা ভাবনা নাই।এব্যাপারে রাজ্যের তৃন্মুল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি একই পথে। সিঙুরের শিল্প বিকাশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে এখন শিল্পের দোহাই দিচ্ছেন। বেকারদের বুকে ছুরি মেরেছেন। দিদি মোদী একই বৃন্তের দুইটি ফুল।এন আরসি এর বিরুদ্ধে মমতা আন্দোলন করে বেড়াচ্ছেন,অথচ রাজ্য বিধান সভায় এন আর সি বিরোধী প্রস্তাব আনতে রাজী নন। মোদীর বিরুদ্ধে প্রস্তাব নেওয়ার সাহস মমতার নাই। কেননা সারদা কেসের বেড়াল বেড়িয়ে যাবে।আজ শ্রমিক কৃষককে ঐক্যব্দ্ধ লড়াই এর মাধ্যমে এই প্রতিক্রিয়া শক্তিকে পরাস্ত করা সম্ভব। সম্মেলনে প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদার বলেন কৃষি ও কৃষক আজ সংকটে।
কৃষকের দুর্দশা অন্ত নাই। কৃষক ফসলের ন্যয্য দাম পায় না।রাজ্য সরকার ফসলের মুল্য কুইন্টাল প্রতি ১৩০০ টাকা করেছে। যাতে উৎপাদন খরচা ওঠে না। কিন্তু সেই দাম পাওয়ার আগে ফোড়েদের কাছে ৯০০ টাকায় বিক্রী করতে হচ্ছে। সারা রাজ্যে ২১৮ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সেই কৃষকের জন্য চিন্তা করে নি রাজ্য সরকার। কৃষক সভা এই সব পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য দেবার কথা চিন্তা করছে। দেশের নব্য ধনীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে তাদেরকে জন জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
লড়াই জারী রাখতে গেলে মেহনতি মানুষের ঐক্যকে দৃড় করতে হবে। খেত্ মজুরের অবস্থা আরও শোচনীয়। তারা কাজ পায় না। ১০০ দিনের কাজ নাই। তাই কৃষকসভা দাবী করেছে ক্ষেতমজুরদের ২০০ দিনের কাজ ও হাজি রা ৬০০ টাকা দিতে হবে। সভায় গন আন্দোলনের নেতা,সলিল আচার্য বলেন কৃষি আজ সংকটে।কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে সব মানুষকে একত্রিত করে লড়াই জারী রাখতে হবে।কৃষককে না বাচালে দেশ,এগোতে পারবে না। দেশের সংকটের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে তীব্র গন আন্দোলন তৈরী করতে হবে। প্রকাশ্য সভায় উপচে পড়া ভীড়ে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি জিতেন দাস।