মালদা : শুভদীপ সরকার : ৩১শে জানুয়ারী ২০২০, শুক্রবার :বৃদ্ধ মায়ের একমাত্র সন্তান তাও অন্ধ । মালদা জেলায় অমানবিক দৃশ্য দেখতে পাওয়াগেল। একজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ উঠে এল। বৃদ্ধা মায়ের একমাত্র সম্বল ছেলে। তবে সেই ছেলের দুই চোখই অন্ধ, রোজগারের অন্য উপায় নেই তাই সরকারি জমির উপর বসবাস করে ভিক্ষা করে কোনো রকমে দিন যাপন করছিলেন তাঁরা। এই অসহায় মা ও তাঁর ছেলের ঘর ভাঙচুর করে তাঁদের পথে বসানোর অভিযোগ উঠল মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের মালঞ্চপল্লি এলাকায়। ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা ঊষা গোস্বামী। তাঁর একমাত্র সম্বল বলতে ছেলে বাবু গোস্বামী, তিনিও পুরোপুরি দৃষ্টিহীন। মালঞ্চপল্লি এলাকার একটি সরকারি জমির উপর ভাঙাচোরা বাড়িতে ২০০৯ সাল থেকে তাঁরা বসবাস করছেন। পেটের দায়ে তাঁদের ভিক্ষা করতে হয়। গত বর্ষায় জল জমে যাওয়ার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে এদিক ওদিক ঘুরে দিন কাটাচ্ছিলেন মা ও ছেলে। বুধবার বাড়ি ফিরে এসে তিনি দেখেন যে, তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ভাঙাচোরা ঘরে তাঁদের যেটুকু যা জিনিস ছিল সেই সবই লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডার মধ্যে মাথার ছাদ হারিয়ে এখন অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা। এই অবস্থায় এখন রাস্তাতেই ঠাঁই হয়েছে মা ও ছেলের। ইংরেজবাজার পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ওই জমি দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অসহায় বৃদ্ধার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠায় এখন অত্যন্ত অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃদ্ধার বাড়ি ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানান, “বৃদ্ধা মা ও ছেলেকে তাড়ানোর কথা আমি শুনেছি। এই কাউন্সিলর সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তাই সিপিএমের সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করা, জমি দখল করার সংস্কৃতি তাঁর মধ্যে এখনও রয়ে গেছে। এই ধরণের অভিযোগ কোনও মতেই বরদাস্ত করবেন না তিনি।” তাঁর আরও অভিযোগ, এলাকায় জমি ভরাট-সহ বিভিন্ন অবৈধ কাজ করছেন অভিযুক্ত এই কাউন্সিলর।