জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১লা ফেব্রুয়ারী ২০২০, শনিবার: সকাল থেকে মাল ব্লক হাসপাতালের সামনে শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্নায় বসেছেন মাল্টিপারপাস হেলথ ওয়ার্কারেরা। যার ফলে সমস্যায় হাসপাতালের পরিসেবা। জানা গেছে Multipurpose health worker (male) 2010 সালে february মাসে বায়োলজি সহ উচ্চমাধ্যমিক pass শিক্ষাগত যোগ্যতায় মেধা তালিকার মাধ্যমে recruit করা হয়। এদের কাজ, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমস্ত রকম কাজ ছাড়াও বিভিন্ন রকম বিপর্যয় মোকাবিলা এবং বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত বিভিন্ন কাজে যোগদান করা। দিবারাত্রী ছুটি ইত্যাদি এর পরোয়া না করে সমস্ত রকম কাজে যোগদান করা। এছাড়া pulsepolio, census, blo duty, বিভিন্ন জায়গায় health camp ইত্যাদিতেও যোগদান করে থাকেন এই সব মাল্টিপারপাস হেলথ ওয়ার্কারেরা। ধর্নায় বসা তুষার কান্তি সরকার বলেন, 2010 সালের পর 2012 সালে কেবল মাত্র একবার বেতন বৃদ্ধি হয়। কিন্তূ 2012 সালের পর আর একবারও বেতন বৃদ্ধি হয় নি। মুখমন্ত্রী মহাশয়া contructual কর্মীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন… 60 years এর নিশ্চয়তা, EPF চালু, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি দিলেও তাদের কাছে তা এসে পৌঁছোয়নি। অবস্থানকারিদের বক্তব্য তারা বহুবার বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে গেলেও তাঁদের নীরবতায় তারা হতাশ। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বাজারে তাদেরও সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই সমস্ত কারণ তাদের আজকের ধর্ণায় বসতে বাধ্য করছে। তাদের দাবি – 1. সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মতো আমাদেরও বেতন বৃদ্ধি করতে হবে । 2. 60 বছরের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। 3. তাদের EPF আওতাভুক্ত করতে হবে। 4. hrmis online database এ আমাদেরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 5. সর্বোপরি চূক্তিভিত্তিক সমস্ত কর্মীদের মতো আমাদেরও সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আমাদের উর্ধতন কতৃপক্ষরা আশ্বাস দিলে, তৎক্ষনাৎ কাজে যোগদান করবো।
এব্যাপারে মাল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্লক অফিসার প্রিয়াঙ্কু জানা ছুটিতে থাকায়, হাসপাতালের ইনচার্জ দীপক রঞ্জন দাস বলেন, এতে হাসপাতালের পরিসেবা ব্যাহত হচ্ছে। কারন এইসব কর্মিরা কাজ বন্ধ রেখে অবস্থানে বসে যাওয়ায় হাসপাতালের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষ কে সমস্ত ব্যাপার জানিয়েছি। আশাকরি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।