17 C
New York
Tuesday, June 17, 2025

Buy now

spot_img

প্রতারিত বেকার যুবক-যুবতীরা প্রশাসনের দ্বারস্থ।

মালদা : ১৩ই ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার : বর্তমানে সবথেকে বড় সমস্যা বেকারত্ব, আর সেই বেকারত্ব ঘোচানোর জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন ফ্রি স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স চালু করেছে। যেখানে বেকার যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন ট্রেনিং নিয়ে ট্রেনিং শেষে স্টাইপেন, চাকুরী অথবা স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু তবুও কিছু অসাধু মানুষ এই বেকার যুবক যুবতীদের কর্মহীনতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টাকার বিনিময় ট্রেনিং ও তারপর 100% কাজের সুযোগ এর নামে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদা শহরের 420 মোড়ে। একটি বেসরকারি সংস্থা 4200 টাকার বিনিময়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং ও ট্রেনিং শেষে 100% কাজের সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই কথা মত কিছু গরিব ছেলে মেয়ে সেখানে টাকা জমা করে ও ট্রেনিং নেয়। ট্রেনিং শেষে তাদের একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয় যাতে অফিসের কোন এড্রেস ডিটেলস নেই। তা দেখে ছেলে মেয়েরা প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করলে তাদের বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয় এটাই ঠিক। এরপরে ছেলেমেয়েরা স্থানীয় কোন প্রতিষ্ঠান চাকরির আবেদনের সাথে সে সার্টিফিকেট দেখালে সেই সার্টিফিকেটকে কোনরকম গ্রাহ্য করা হয়নি। তাছাড়া সেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে যাদের প্রতিশ্রুতি মতন কাজের সুযোগ দেওয়া হয় তাদেরও অভিযোগ তাদের ভিন রাজ্যে কাজে পাঠানো হয়। যেখানে যাওয়ার জন্য তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না এবং সে রাজ্যের ভাষা এবং খাওয়া-দাওয়া অভিন্ন। তাতে তারা যে সেলারি পাবে বলে ঠিক হয় তা অনেক কম সুতরাং বর্তমানে এই সমস্ত বেকার ছেলে মেয়ে যারা সেখান থেকে ট্রেনিং নিয়েছে তারা অভিযোগ করছে যে এই সংস্থা নিজেদের প্রতিশ্রুতি মতন ট্রেনিং অথবা ট্রেনিং শেষে ঠিকঠাক প্লেসমেন্ট দিচ্ছে না। বেকার যুবক যুবতীরা এ ধরনের প্রতারণায় একদম ভেঙে পড়েছে।

তারা এই বিষয়ে মালদা জেলার এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এবং তারা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে সঠিক বিচারের জন্য দ্বারস্থ হবেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে সমাজসেবী ও মানবাধিকারকর্মী শুভদীপ সরকার এর কাছে মতামত জানতে চাইলে উনি বলেন “আমি 4-5 দিন আগে এই ধরনের একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছিলাম এবং সেখানে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গিয়েছিলাম । সেখানে গিয়ে সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারি এটি বন্ধন ব্যাংক এর সাথে রিলেটেড এই ব্যাপারে বন্ধন ব্যাংকের স্থানীয় ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলে যে এটা তাদের সাথে রিলেটেড কিন্তু সেখানে যে প্লেসমেন্টের ব্যাপার সেটা সম্বন্ধে তার কোন ডিটেলস জানা নেই। এছাড়া সার্টিফিকেটগুলো আমি দেখি যেগুলো দেখে মনে হচ্ছে না কোনো প্রফেশনাল জায়গা থেকে এগুলো দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমি এটাই বলব যে প্রশাসন যেন এই ব্যাপারে সঠিকভাবে তদন্ত করে এবং বেকার যুবক-যুবতী যাতে কোনভাবে প্রতারিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!