জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৫ই ফেব্রুয়ারী, শনিবার : ডানকান্স গোষ্ঠীর রুগ্ন চা-বাগানের মধ্যে একটি মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট চা-বাগান। বহু মাস ধরে বাগানের শ্রমিকেরা কাজ করেও ঠিকঠাক মজুরী পায় না বলে অভিযোগ। যার ফলে চরম সমস্যায় বাগানের প্রায় ১৫০০ চা শ্রমিক। বর্তমানে শুকা মরশুম। এই সময় চা পাতা তোলা যায় না। এই সময় শ্রমিকদের মজুরী দেওয়ায় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই বাগান কতৃপক্ষ ইতি মধ্যে বাগানের প্রায় ৩০০ র বেশি সেড ট্রী কেটে ফেলেছে। দাবি এই সেড ট্রী বিক্রি করেই শ্রমিকদের মজুরী দেওয়া হবে। তবে শ্রমিকেরা গাছ কাটার বিরুদ্ধে। সেই কারনে বর্তমানে শ্রমিকেরা গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের দাবি এটা মালিক পক্ষের চক্রান্ত।
এই সেড ট্রি বিক্রি করে নিজেরাই পকেটে সেই টাকা পুরবে। শ্রমিকদের কোন মজুরিই দেবে না। তাছাড়া এই ভাবে অবিচারে সেড ট্রী কাটা হলে চা-গাছও মারা যাবে। ইতি মধ্যে ৩০০ র বেশি সেড ট্রি কেটে ফেলেছে বাগান কতৃপক্ষ। যা চাবাগান এবং পরিবেশের পক্ষেও খুব খারাব। বহু বছর ধরে শ্রমিকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাগানে কাজ করছে কিন্তু মালিক পক্ষ উদাসিন। শুধু নিজেদের পকেট পুরছে। এর আগে কেন্দ্রিয় সরকারে রাস্তা তৈরির জন্য জমিসহ গাছ প্রায় ১১ কোটি বিক্রি করেছে। সেই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের কোন পাওনা মেটায় নি। তারপর আবার বাগানের ছোট বড় বহু গাছ কেটে বিক্রি করে চলেছে। এব্যাপারে মালবাজার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। কোন মতে চাবাগান এর গাছ কাটতে দেব না আমরা। এব্যাপারে বাগান ম্যানেজারকে চা-বাগানের অফিসে পাওয়া যায় নি। ফোন করলেও ফোন ধরেন নি তিনি। এব্যাপারে মালবাজারের মহকুমা শাসক বিবেক কুমার বলেন, আমি জানি ওই বাগান অনুমতি নিয়েই গাছ কাটছে। তবে এব্যাপারে আরো খোজ খবর নিচ্ছি।