আলিপুরদুয়ার : ২৬শে ফেব্রুয়ারী ২০২০, বুধবার : নিজের সন্তানের খেলার সাথী আট বছরের প্রতিবেশী শিশু কন্যাকে স্ত্রী সন্তানের অনুপস্থিতিতে নিজের বাড়িতে ডেকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুন করে রায়ডাক নদীর চড়ে পুঁতে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের বারোবিশার লালস্কুলে। মঙ্গলবার বিকেলে লালস্কুলের মনোরঞ্জন বর্মনের আট বছরের মেয়ে পাম্পি বর্মন স্কুল থেকে ফিরে খেয়ে খেলতে বের হয় কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরও তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী পাম্পি বাড়ি না ফেরায় খুঁজতে বের হয় বাড়ির লোকজন। কিন্তু এলাকায় কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না পাম্পিকে। এরই মধ্যে সন্ধের পর প্রতিবেশী শম্ভু রায়ের স্ত্রী একজোড়া চটি জুতা নিয়ে পম্পিদের বাড়ি আসে এবং দেখিয়ে জানতে চায় সেটি পম্পির কিনা। জুতো দেখে বাড়ির লোক সনাক্ত করে সেটি পম্পির। শম্ভুর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে চটি জুতা শম্ভু রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে সম্ভুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একেকবার একেক রকম উত্তর দেওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারোবিশা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পুলিশের টানা জেরায় শম্ভু স্বীকার করে যে সে পম্পিকে ধর্ষণ করে। পম্পি সে সময় চিৎকার করতে শুরু করে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। খুন করার পর পাশেই রাতের অন্ধকারে রায়ডাক নদীর চরে নিয়ে পুঁতে দেয় মৃতদেহটি। পরে রাত আড়াইটা নাগাদ নদীর চর থেকে পম্পির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে এলাকায় ۔ শম্ভুকে গ্রেফতার করেছে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।