জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২০, বৃহস্পতিবার : বর্তমান সময়ে আমাদের মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্লাস্টিক মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা। আমাদের আশেপাশে সর্বত্র পড়ে থাকে প্লাস্টিকের আবর্জনা। অনেকে খাওয়ারের অবশিষ্ট অংশ প্লাস্টিকের প্যাকেট করে এদিক ওদিক ফেলে দেয়। খাওয়ারের খোঁজে এসে গবাদিপশু এই খাদ্য বস্তু প্লাস্টিক সমেত খেয়ে ফেলে। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার এইরকম দৃশ্য দেখা গেল মালবাজার শহরে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে রয়েছে বাসস্থান। বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য দোকান, হোটেল, ফল ও মিষ্টির দোকান। এই সব দোকানের বর্জ প্লাস্টিকের বস্তায় করে ফেলা হয় পাশের এক ঝোড়ার মধ্যে।
স্থানীয় গবাদিপশু গরু, শুয়োর, ছাগল খাবারের খোঁজে এখানে এসে প্লাস্টিকের প্যাকেট সমেত খাবার খেতে দেখা গেল। এই দৃশ্য মাঝেমধ্যে দেখা যায়। এতেই উদ্বিগ্ন পরিবেশ প্রেমীরা। মাল মাউন্টেন ট্রেকার ফাউন্ডেশনের সম্পাদক স্বরুপ মিত্র জানান, মাঝেমধ্যে এনিয়ে সচেতনতা প্রচার করি। কিন্তু, এর ব্যবহার কমানো যাচ্ছে না। ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যবহার না করলেও অনেকে বাড়ির তরকারির খোসা প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে ফেলে। গরু প্লাস্টিক সমেত খেয়ে অসুস্থ হয়। আমাদের সচেতনতার অভাবে পশুপাখির বিপদ ডেকে আনি। এই প্রবনতা দুর করা উচিত। ওদলাবাড়ির পরিবেশ প্রেমী সুজিত দাস বলেন, এ এক ভয়ংকর প্রনণতা। শুধু পরিবশের ক্ষতি করছি না পাশাপাশি গবাদিপশুর বিপদ ডেকে আনছি। পশু চিকিৎসালয়ের ডাক্তার জানান, প্লাস্টিক অপাচ্য শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিকের মধ্যে নানান কেমিক্যাল থাকে যা গবাদিপশুর পক্ষে বিপদজনক। মাঝেমধ্যে এই অসুস্থ গরু চিকিৎসার জন্য আনা হয়। এ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। তবে, বিপদের কথা সবাই বললেও জঞ্জাল কিন্তু রোজ বাড়ছে।