মালদা : ৭ই মার্চ ২০২০, শনিবার : আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে মালদার ইংরেজবাজার থানার তিন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হল। পুলিশ সূত্রের খবর, ‘ক্লোজ’করা হয়েছে থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসকেও, সাসপেন্ড হওয়া তিন পুলিশ অফিসারের নাম সুবীর সরকার, নরবু ডুপকা এবং তনয় চক্রবর্তী। এই তিনজনেই ইংরেজবাজার থানায় সাব ইনস্পেকটরের পদে ছিলেন। অর্থাৎ তাঁকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সেই জায়গায় অস্থায়ী আইসি পদে বহাল করা হয়েছে ত্রিগুণা রায়কে। চারজনের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। কী কারনে এই তিন অফিসারকে বরখাস্ত করা হল সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে চাননি পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। পুলিশ সূত্রের খবর, বিশাল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। একটি ঘটনার তদন্তভারে চরম গাফিলতির অভিযোগও রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকারকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মালদা শহরের নেতাজি সুভাস রোড সংলগ্ন একটি ট্রাস্ট বোর্ডের মালিকানায় এক বাংলাদেশির নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রও উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের ভোটার কার্ড ও অন্যান্য নথি উদ্ধার হয় ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে। এমনকি ট্রাস্টের মালিকানাও নাকি ছিল ওই ব্যক্তির নামেই। অভিযোগ, ট্রাস্টের অধীনস্থ জমি বিক্রি করে ভারতীয় টাকা সে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়েছিল। কিছুদিন আগেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। কিছুদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পরেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় ওই ব্যক্তি। ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে জানা যায়, ওই বাংলাদেশির কাছ থেকে মোটা টাকা (সূত্রের খবর ১ কোটি ৩০ লক্ষ) ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছিল ওই তিন অফিসার। ঘটনায় নাম জড়ায় থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসেরও। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন তদন্ত চলছে।