উত্তর দিনাজপুর : ৭ই মার্চ ২০২০, শনিবার : দারিদ্র্যকে সাথে নিয়ে একের পর এক ট্রফি, মেডেল, সার্টিফিকেট জয় করে চলেছে জিয়াসমিন সুলতানা। এখন তার টার্গেট রাজ্য ও দেশ জয়। দেশের হয়ে অলিম্পিকেও সোনা জেতা স্বপ্ন দেখে জিয়াসমিন। আধপেটা খেয়ে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে ইটাহার গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী জিয়াসমিন সুলতানা। চরম আর্থিক অনটন। যেখানে রোজ দুইবেলা খাবার জোগার করাই কষ্টসাধ্য সেখানে পুষ্টিকর খাবারের ভাবনা তো বিলাসিতা! কিন্তু এই সঙ্কটের মধ্যেও তার ঝুলিতে প্রায় কুড়িটি ট্রফি, ৩৬টি মেডেল, ৩৮ টি সংশাপত্র।
জিয়াসমিনের মা পিঙ্কি বিবি বলেন, “মেয়েটা দৌড় প্রতিযোগিতায় অনেক দূর যেতে চায়। কিন্তু অভাবের সংসারে পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দুইবেলা খাবারের জোগান দেওয়াও কষ্টকর। জানিনা মেয়ের ইচ্ছা শেষ পর্যন্ত পূরণ হবে কিনা।”বাবা সুলতান মহম্মদ ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির জোগারীর কাজ করেন। তাঁর একার আয়ের উপরেই ভরসা করে ইটাহারের উত্তরপাড়ায় সংসার চালাচ্ছেন পিঙ্কি বিবি। দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে তাঁর অনটনের সংসার। এদিকে সামনেই স্টেট মিট রয়েছে জিয়াসমিনের। চলছে জোড় প্রস্তুতি ৷ রোজ নিয়ম করে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দৌড়ায় সে ৷ জিয়াসমিনের কথায় স্টেট মিটে ভালো কিছু না করতে পারলে ন্যাশনাল মিটে অংশ নেওয়া হবে না। বিগত প্রায় এক বছর থেকে রায়গঞ্জের প্রশিক্ষক সজলকুমার দাসের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে জিয়াসমিন। সজলবাবুর বলেন, মেয়েটির মধ্যে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। জিয়াসমিনের পাশাপাশি আমিও স্বপ্ন দেখছি ৷ তবে পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। সরকারী কোনও সাহায্য পেলে জিয়াসমিন নিজের যোগ্যতায় সাফল্য অর্জন করতে পারবে বলে মনে করি।