জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৭ই মার্চ ২০২০, শনিবার : মালবাজার এবং নাগ্রাকাটা বিধায়কের বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচী শুরু শনিবার। সম্প্রতি কলকাতায় দলীয় সভায় রাজ্যের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে ৭৫ দিনের কর্মসূচীদেন তৃনমুল নেত্রী ও পিকের টিম। সেই জন সংযোগ কর্মসূচী অনুযায়ী শনিবার মালবাজার মহকুমার লাটাগুড়ি, চালসা এবং ডামডিমে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসুচী শুরু হল। শনিবার দুপুরে প্রথম এই কর্মসুচী পালন হয় লাটাগুড়ির একটি বেসরকারী লজে। এদিন লাটাগুড়িতে বাংলার গর্ব মমতার কর্মসুচীতে প্রদীপ জ্বালিয়ে সুচনা করেন তৃনমুল এর জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী ৷ উপস্থিত ছিলেন মালবাজারের বিধায়ক বুলুচিক বড়াইক। ক্রান্তি ব্লক সংঠনের আহ্বায়ক মেহবুব আলম, লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান যগোবন্ধু সেন সহ অন্যান্য নেতারা। এদিন প্রথমে সবাইকে নিয়ে সংবিধানের শপথ বাক্য পাঠ করেন। এরপর দিদির দেওয়া দুটি বাংলা গান বাজানো হয় মঞ্চে।
একই ভাবে ডামডিমে তৃনমুল কার্যালয়ের সামনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও ওদলাবাড়ি, বাগ্রাকোট, ডামডিমের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং মাল পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা ও অন্যান্য কাউন্সিলারা,উপস্থিত ছিলেন। অন্য দিকে মেটেলি ব্লকের চালসায় দলীয় কার্যালয়ে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচী সুচনা করেন নাগরাকাটার বিধায়ক শুক্রা মুন্ডা। নাগরাকাটা বিধানসভার অর্ন্তগত মেটেলি ব্লক রয়েছে। এদিন বিকাল ৩ নাগাদ দলের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও কর্মীদের নিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। কর্মসূচীর শুরুতেই বিধায়ক নিজে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে সংবিধানের শপথ বাক্য পাঠ করেন। জলপাইগুড়ি জেলার তৃনমুল সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যানী তার ভাষনে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচীর বর্ণনা করে বলেন, আমাদের নেত্রী ও পিকেজী ৭৫ দিনের কর্মসূচী দিয়েছে।
এই কর্মসূচী অনুযায়ী বিধানসভা এলাকায় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরের প্রতি বাড়িতে গিয়ে মানুষকে রাজ্যের উন্নয়ন ও সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বোঝাব। তিনি আরো বলেন, দিদিকে বলো কর্মসুচী শেষ হল এবং বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচী শুরু হলো। এর ফলে মানুষের আরো কাছে পৌছানো যাবে। এদিন চালসার কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন মেটেলি ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি আশীষ কুন্ডু, প্রাক্তন বিধায়ক জোশেফ মুন্ডা, জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ আশ্রিতা লাকড়া মুন্ডা, পঞ্চায়েত প্রধান দীপক ভুজেল প্রমুখ। দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে বিধায়ক বুলুচিক বড়াইক এবং শুক্রা মুন্ডা বলেন, দলের নেত্রী আমদের এই কর্মসূচী দিয়েছেন। আমরা সবাই সমবেত ভাবে পালন করব। যারা সভায় আসেনি তাদের কাছে আবার যাব। আগামী ১৫ মার্চ নাগরাকাটায় বর্ষিয়ানদের নিয়ে সভা করব। তাদের সমস্যা শুনব। এই ভাবে ৭৫ দিন ব্যাপী কর্মসূচী পালন করা হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক বন্ধুদের সাথেও কথা বলবো। কোথায় আমাদের খামতি আছে তা জানব। প্রতিটি অনুষ্ঠানের শেষে জাতীয় সংঙ্গীত মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।