শিলিগুড়ি : ৭ই মার্চ ২০২০, শনিবার : বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে, শংশয়ে মহানন্দা। বারবার অভিযোগ উঠলেও, দৃষ্টি আকর্ষণ করছে না প্রশাসনিক কর্তারা। এমনই অভিযোগে সরব পরিবেশ প্রেমী সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শিলিগুড়ি নদী মাতৃক শহর। আর এই শহরের বিভিন্ন নদীগুলি নানান সমস্যায় জরাজীর্ণ। নদীর চর দখল করে, গড়ে উঠেছে বস্তি। এমন অভিযোগ উঠলেও, বারবার পিছিয়ে এসেছে প্রশাসনিক কর্তারা। এরই মাঝে পুনরায় বালি ব্যবসায়িদের দৌরাত্ম্যে, নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনিক কর্তাদের। শহর শিলিগুড়ির বুক চিড়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা নদী।
সেই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগে সরব পরিবেশ প্রেমী সহ বিভিন্ন মহল। ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অধিনস্ত কামরাঙ্গাগুড়ি কালিমন্দির ঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ গাড়ি অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নদী থেকে বালি তোলার সরকারি কোনও নথি নেই। তবে কিভাবে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে, বালি তোলা হচ্ছে ? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে, তৃণমূল সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ সামনে আসে। যদিও এবিষয়ে কেউ মুখ না খুললেও, স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নূর আলি বলেন, ঐ নদী থেকে বালি তোলার সরকারি অনুমতি আমারই ছিলো। বিগতদিনে তা পুনঃনবীকরণ করতে গিয়েই বিপত্তি আসে। সরকারী প্রক্রিয়াকরণে কোনো সমস্যা থাকায়, টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়। তার পর থেকে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা, গায়ের জোর দেখিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালি খনন করে চলেছে। এবিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়েও, কোনও সমাধান হয়নি। এবিষয়ে ডাবগ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা কিরাতি বলেন, ঐ ঘাট থেকে বালি তোলা নিয়ে দলীয় কোন্দল আছে কিনা, সেবিষয়ে জানা নেই। তবে এমন অভিযোগ বারবার আসায়, জলপাইগুড়ি জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, ভূমি রাজস্ব দফতর, নিউ জলপাইগুড়ি থানা সহ মন্ত্রী গৌতম দেবকেও বিষয়টি দেখবার জন্য অফিসিয়ালি চিঠি করা হয়েছে।