আলিপুরদুয়ার : ৭ই মার্চ ২০২০, শনিবার : রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গে কুমারগ্রামেও শনিবার কর্মী সম্মেলন করে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচীর সূচনা হল। কর্মী সন্মেলনের পর কুমারগ্রামের বিধায়ক জেমস কুজুর সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচীর লক্ষ্য বিস্তারিত ভাবে জানান। বিধায়ক বলেন, টানা ৭৫ দিন ধরে দলের কর্মী সমর্থকরা এই কর্মসূচীতে সামিল হবেন।
মূলত মমতা কেন বাংলার গর্ব। সেটাই জন মানসে তুলে ধরা হবে। মানুষের সঙ্গে দলের যোগাযোগকে পুনরুজ্জিবিত করাই জন্য এই কর্মসূচী। লোকসভা ভোটের পর ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী নেতা-কর্মীদের অনেকটা তরতাজা করেছিল। সামনেই পুরভোট, ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও আগামী বছর রাজ্যের বিধানসভার ভোট । ঠিক এই সময় ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচী নিয়ে কর্মী সমর্থকদের রীতিমত উৎসাহ অনেকটা বাড়িয়ে দিল। এদিন বিধায়ক ছাড়াও আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার, দলের কুমারগ্রাম এবং আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক সভাপতি দেবজিৎ সরকার ও ধীরেশ চন্দ্র রায় বক্তব্য রাখেন। এই কর্মশালায় কুমারগ্রাম বিধানসভা ক্ষেত্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই কর্মসূচীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি বিরোধীরা। কুমারগ্রাম বিধানসভার সংযোজক তথা বিজেপি নেতা বাবুলাল সাহা বলেন, মমতাকে বাংলার গর্ব বলে বাংলার মনিষীদের অপমান করা হয়েছে। আমরা এতদিন জানতাম রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বাংলার গর্ব । তার সাথে মমতার তুলনা চলে না। এসব করে মানুষের মন পাওয়া যাবে না। আগে ছিল সততার প্রতীক, এখন সততা নেই উনি শুধু সারদা-নারদার প্রতীক হয়ে গেছেন।