জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৮ই মার্চ ২০২০, রবিবার : ময়নাগুড়ি ব্লকের মধ্য শাল বাড়ীর গৃহ বধুর উপর পন দিতে না পারায় মানসিক নির্যাতন। ঘরে আটকে রেখে মার ধর সহ মেরে ফেলার হুমকি এবং সাত মাসের অন্তসত্বা অবস্থায় সাত মাসের শিশু পুত্রের হত্যার অভিযোগে এদিন ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে গৃহ বধু শম্পা রায়। স্বামী নিরঞ্জন রায়, শশুর মন্তেশ্বর রায় ও শাশুড়ি শমিকা রায়ের বিরুদ্ধে।
গৃহ বধু শম্পা রায় বলেন, তার বাবার বাড়ি মানবাজার ব্লকের লাটাগুড়ি ক্রান্তি মোড়ের বাসিন্দা অবিনাশ রায়ের মেয়ে। তিনি পেশায় দিন মজুর। গত ২০১৬ সালের ১৬ই জানুয়ারি ভালোবাসা বিয়ে করে মধ্য শাল বাড়ীর নিরঞ্জন রায়ের সঙ্গে। পেশায় রাজ মিস্ত্রি বিয়ের পর থেকেই পন না দিতে পারায় শশুর বাড়ীর সকলেই শম্পার উপর অমানষিক অত্যাচার চালাতে থাকে। শম্পার মা বৈশাখী রায় বলেন, স্বামী দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাবে না বার বার টাকা দিবে জামাইকে। এমত অবস্থায় কয়েক বার বৈশাখী দেবী এসব ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলে। তা সত্ত্বেও গত কাল শম্পাকে স্বামী সহ পরিবারের লোকজন লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মার ধর করে এবং লোহার রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং ঘরে তালা মেরে আটকে রাখে। এমতাবস্থায় শম্পার বাড়ীর লোক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আহত শম্পাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং তার মাথায় অনেক সেলাই পড়ে। এই ঘটনায় শম্পার শশুর বাড়ীর সদস্যদের পাওয়া যায় নি। ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ জানান অভিযোগ জমা পড়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।