জলপাইগুড়ি : চামুর্চি : ১৫ই মার্চ ২০২০, রবিবার : চামুর্চি ভুটান গেট সংলগ্ন বাজার এক প্রকার জনশূন্য। দোকান খোলা থাকলেও দেখা নেই ক্রেতাদের। বিগত দিনে প্রতিদিন প্রায় প্রতিদিন গড়ে চার থেকে ২ থেকে ৩ হাজার ভূটানের বাসীন্দা মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করতো এই চামুর্চী ভুটান গেট দিয়ে। কেউ কাজের সূত্রে কেউ বা বাজার করার জন্য ভারতের সীমান্ত চামূর্চীতে , বানারহাট এলাকা অথবা শিলিগুড়ি যেতেন। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের কারণে ভুটনিসরা সেই ভাবে আর কেনাকাটা করতে ভুটান সীমান্ত চামূর্চিতে আসছেন না। যার ফলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। কারন চামূর্চীর 90% ব্যবসায়ী ভুটানের উপরে নির্ভর করে। এদিকে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত কোন ব্যক্তি উপসর্গ নিয়ে কোন ভুটানের বাসিন্দা ভারতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফের এবং এস এস বি তরফে ক্যাম্প করা হয়েছে। যারা ভুটান থেকে ভারতে প্রবেশ করছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রবিবার ছুটির দিনে প্রায় ভূটান থেকে 500 জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কোন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলেনি। তবে আতঙ্কে কেউ আর চামূর্চী আসছেন না। তাই বাজারে ব্যাবসায়ীরা দোকান খুলে বসে থাকলেও নেই ক্রেতা। ভারতের বাসিন্দারাও এক প্রকার ভুটানে প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। রবিবার এমনই ছবি ধরা পরল ভারত ভুটান সীমান্ত চামুর্চি এলাকায়। স্বাস্থ্য দপ্তরে কর্মী নম্রতা দাহাল বলেন, গত দুদিন থেকে আমরা ভুটান সীমান্ত চামূর্চীতে স্বাস্থ্য ক্যাম্প শুরু করেছি। প্রতিদিন প্রায় পাচশো থেকে হাজার মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে, রবিবার প্রায় সাতশো জন মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। যারা ভারত থেকে ভুটানে প্রবেশ করেন বা ভুটান থেকে যারা ভারত চামুর্চি এলাকায় এসেছেন বিভিন্ন কাজে তাদের। তবে কারো শরীরে এখনো পর্যন্ত করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি, আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। এলাকার বাসীন্দা রেজা করিম বলেন, আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি কারন যে ভাবে গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আর তার মধ্যে কিছুদিন আগে ভুটানের থিম্পুতে একজন আক্রান্ত এর সন্ধান মিলে ছিল তাই আমরা খুবই চিন্তিত। ভারত থেকে মানুষ ভুটানে যাওয়া একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছে। ব্যবসায়ী মহম্মদ নিয়ামত বলেন, বাজারে কেনা কাটা নেই কারন আগের মত ভুটানিরা আর আসে না। করোনার আতঙ্কে বাজার ফাঁকা। সকাল থেকে দোকান খুলে রাখলে হাতেগোনা এক-দুজন খদ্দের আসে। আমরা ব্যবসায়ীরা দারুন চিন্তায় পড়েছি। আমরা চাই দ্রুত করোনা আতঙ্ক দূর হোক এবং নিষ্পত্তি হোক।