মালদা : ১৭ই মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার : হাসপাতালেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন দুই অন্তঃসত্ত্বা ৷ একজন মালতিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং অন্যজন চাঁচল সুপার স্পেশালাটি হাসপাতালে পরীক্ষা দেন ৷ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৷ শিক্ষকদের সাহায্যে মালতিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন এক পরীক্ষার্থী ৷ সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় সন্তান সম্ভবা আরও এক পরীক্ষার্থীকে চাঁচল সুপার স্পেশালাটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ সেখানেই তাঁর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ৷ প্রয়োজনে পরবর্তী পরীক্ষাগুলিও হাসপাতাল থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর ৷ সোমবার উচ্চমাধ্যমিকের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা ছিল ৷ পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে সন্তান সম্ভবা সামসি এগ্রিল হাইস্কুলের পরীক্ষার্থী নমিতা মাঝি অসুস্থ বোধ করেন ৷ শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাঁকে মালতিপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখান থেকেই পরীক্ষা দেন ৷ নমিতার সিট পড়েছিল ভাদো হাইস্কুলে ৷ প্রথম দু’দিন ওই স্কুল থেকেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি ৷ অন্যদিকে, থাহাগাটি হাই মাদ্রাসার ছাত্রী আজমিরী খাতুনও সন্তান সম্ভবা ৷ রাণী দাক্ষায়ণী হাইস্কুলে তাঁর পরীক্ষার সিট পড়েছিল ৷ প্রথম দু’টি পরীক্ষা ওই স্কুল থেকেই দিয়েছিলেন তিনি ৷ সোমবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ শিক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় তিনি মঙ্গলবার হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেন ৷ হাসপাতালেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন দুই অন্তঃসত্ত্বা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মালদা জেলার আহ্বায়ক রফিকুল হোসেন বলেন, “আজমিরী খাতুন বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা স্কুলে বসেই দিয়েছিল ৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোমবার তিনি চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন ৷ সোমবার রাতে খবর পেয়েই আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম ৷ হাসপাতালেই তাঁর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ৷ অন্যদিকে, সামসি এগ্রিল হাইস্কুলের ছাত্রী নমিতা মাঝি মালতিপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন ৷ দুই পরীক্ষার্থীর জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সবরকম সাহায্য করেছে ৷ হাসপাতাল চত্বরে পরিদর্শকের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশও ৷