জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২১শে মার্চ ২০২০, শনিবার : বর্তমানে ভিন্নরাজ্যে কাজ করা শ্রমিকেরা করোনার আতঙ্কে নিজ নিজ বাড়ি ফিরছে। আর এতেই সংক্রামনের আশঙ্কা বারার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরকমই ছবি দেখা গেল মালবাজার মহকুমার সব জায়গায়। শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের ভীড় লক্ষ করা যায়। সবাই এসেছে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। এদের মধ্যে কারো জ্বর না থাকলেও, সর্দি, কাশি-র মত উপসর্গ রয়েছে। তাই এই সব ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা লোকজনদের জন্য আলাদা আউট ডোরের ব্যবস্থা করেছে বিভিন্ন হাসপাতাল। চিকিৎসকরা সেই সব লোকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১৪ দিন বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন।
এই ১৪ দিন আলাদা ঘরে থাকার কথা চিকিৎসকেরা বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে জ্বর, সর্দি কাশি হলে, হাসপাতালে আসার কথা বলা হচ্ছে বহিরাগত এই সব লোকজনকে। জানা গেছে গত দু-তিন দিনে মালবাজার মহকুমায় কয়েকশো মানুষ ভিন্ন রাজ্য থেকে কাজ বন্ধ রেখে নিজের বাড়িতে ফিরেছে। কেউ কেরল, ব্যাঙ্গালোর, দিল্লী এবং মহারাষ্ট্র থেকে এসেছেন এরা। তাই সকাল থেকে এত ভিন্ন রাজ্য থেকে আশা মানুষদের চিকিৎসা পরিসেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নাওয়া খাওয়া ভুলে পরিসেবা দিচ্ছেন বিভিন্ন চিকিৎসকেরা। দীপক রঞ্জন দাস নামে এক চিকিৎসক বলছেন, দিন দিন বাড়ছে ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা মানুষের সংখ্যা। সকলে আমরা বার বার বলছি, ভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসার পর কেউ আগে বাড়ি যাবেন না। আগে নিকটবর্তী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে বাড়ি ফিরবেন। আমরা, ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা সকল মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১৪ দিন বাড়িতে থাকার কথা বলছি। এই ১৪ দিন যেন তারা কোন ভাবেই অন্য লোকজনের সাথে মেলামেশা না করে। ১৪ দিনের মধ্যে যদি কারো জ্বর, কাশি, সর্দি হয়, তাহলে তারা অবশ্যই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।