জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৩শে মার্চ ২০২০, সোমবার : করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনের তরফ থেকে কোয়ান্টারিন স্থলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্বাচন করার কাজ আরম্ভ করে দিল মাল মহকুমার বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ দপ্তর। এই উদ্দেশ্যে মালবাজার বিডিও হাসিন জাহান রিজভি সোমবার ওদলাবাড়ী এসে কয়েকটি জায়গা দেখে যান। ওদলাবাড়ী কমিউনিট হল ও ল্যাম্পস হল দেখে যান তারা।সাথে ছিলেন যুগ্ম বিডিও শ্রীকান্ত লো,ব্লক মেডিকাল অফিসার, প্রিয়াংকু জানা, প্রধান মধুমিতা ঘোষ ও চিকিৎসক দীপক দাস। জায়গা দেখার সময় কিছু মানুষ আপত্তি করলেও বোঝানোর পরে তারা প্রশাসনের সাথে সহমত হন। বিডিও বলেন প্রশাসন ও স্বাস্থ দপ্তর যৌথভাবে কিছু চা বাগান সহ আর কিছু জায়গা দেখছেন। দেখেছেন লিসরিভার চা বাগান হাসপাতাল ও রাঙামাটি হাসপাতাল। তিনি বলেন এখন কোন নির্দিষ্ট হয়নি। নাগ্রাকাটা ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অভিষেক মন্ডল বলেন চা বাগানের প্রচুর যুবক বাইরে কাজ করে।
তারা, এখন বাড়ীতে ফিরে আসছে। তারা,অসুস্থ হলে তাদের বাড়ীতে আইসোলেশনে থাকার জায়গা নাই। তাই স্বাস্থ দপ্তরের তরফ থেকে শুল্কাপাড়া, হাসপাতালে ভিজিটর রেষ্ট রুম কোয়ারান্টিনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চা বাগান ও বস্তীর প্রায় ৬০০ রোগী আউটডোরে দেখিয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেক ভিন রাজ্য থেকে আসা। তাই ভবিষ্যতের প্রস্তুতি হিসাবে আপাতত দশটি চা বাগান হাসপাতাল, যেখান পরিকাঠামো আছে সেখানে কোয়ারান্টিন সেন্টার করার প্রস্তাব পাঠান হয়েছে সেইভাবে মেটেলী ব্লকের কয়েকটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। মাল মহকুমা, শাসক শান্তনু বালা বলেন তারা আপাতত চারটি জায়গা নির্দিষ্ট করেছেন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এদিকে রাজ্য সরকারের এক আদেশ বলে মাল মহকুমা শহর লকডাউন এর আওতায় এসেছে। মহকুমা শাসক জানান চা বাগান খোলা থাকলেও বাগানের ফ্যক্টরি বন্ধ থাকবে। এদিকে সোমবার ওদলাবাড়ীতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ব্যবসায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নিয়ে এক মিটিং করেন প্রধান মধুমিতা ঘোষ। তিনি জানান সতর্ক্তামুলক ব্যবস্থা হিসাবে অত্যাবশ্যকীয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ ছাড়া সব লকডাউনের আওতায় থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। স্বাস্থ্যদপ্তরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ১০০ শতাংশ আশ্বাস দেওয়া হয়।