মালদা : ২৩শে মার্চ ২০২০, সোমবার : জনতা কারফিউয়ের মাঝে ঠিক বিকেল পাঁচটায় যেন উৎসবে মাতল দেশ। পাহাড় থেকে সমতল, সর্বত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে কাঁসর, ঘণ্টা, থালা, শঙ্খ, উলুধ্বনি, হাততালি – যে যেভাবে পেরেছে, মেতে উঠেছে জরুরি পরিষেবায় যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, তাঁদের অভিনন্দন জানাতে নমোর পরামর্শে। পিছিয়ে নেই বাংলাও। এই উপায়ে গোটা দেশ একজোট হলেও, তা নিয়ে উঠল নানা প্রশ্ন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, রবিবার যেন সকাল সাতটা থেকে রাত ৯টা কেউ বাড়ি থেকে না বেরোন। জনতাকে কার্ফু পালনের কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে আবেদন করেছিলেন, এই দিনই বিকেল পাঁচটায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত যে সব স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য কর্মীরা আছেন, তাঁদের অভিবাদন জানাতে যেন সবাই হাততালি দেন বা কিছু বাজিয়ে শব্দ করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রবিবার ঠিক বিকেল পাঁচটায় বেজে ওঠে নানা রকম শব্দ। শঙ্খধ্বনি, কাঁসর, ঘণ্টা, উলুধ্বনি, থালা-চামচ, হাততালি, বাঁশি, গিটার – যে যা পেরেছেন বাজিয়েছেন। দেশের অলিগলি সব সরগরম হয়ে ওঠে কয়েক মিনিটের জন্য। বাড়ির ছাদে, ব্যালকনিতে, রাস্তায় ভিড় করে চলে অভিনন্দন জ্ঞাপনের পালা।
মিলিত এই প্রচেষ্টায় করোনাকে হারাতে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছে ভারত। ধরা পড়েছে উৎসবের মেজাজ। তবে এরই ফলে বহু মানুষের কাছাকাছি আসার ঘটনা ঘটেছে। মানুষ ভুলেছে সোশ্যাল ডিসট্যানসিং। প্রবল আওয়াজে কান পাতা যায়নি। এই ঘটনার পর সরকারি নির্দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে ২৩ থেকে ২৭শে মার্চ পর্যন্ত। এবং প্রশাসনকে কড়াভাবে ব্যবস্থা নিয়ে এটা পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই সময়ে সমস্ত আপৎকালীন পরিষেবাগুলি চালু থাকবে, এবং সরকারি পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একসাথে 7 জনের বেশি যেন না হয়।