জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৩শে মার্চ ২০২০, সোমবার : সরকারি নির্দেশে রাজ্যের প্রত্যেক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মিডডে মিলের জন্য বরাদ্দ চাল এবং আলু দেওয়া হচ্ছে। সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করে চাল আলু ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ময়নাগুড়ির বেশ কিছু স্কুলে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। বেশ কিছু স্কুলে লক্ষ্য করা গেলো অভিভাবকদের সাথে ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে আসতে। অনেক ক্ষেত্রেই স্কুলের পক্ষ থেকে সাবধানতা অবলম্বন না করারও অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যে কোভিড ১৯ কে রুখতে রাজ্যের পৌরসভা এলাকা এবং জেলাগুলিতে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত এই লকডাউন থাকবে বলে নির্দেশিকা জানানো হয়। ইতি মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিদ্যালয়ের মিডডে মিলের চাল ও আলু ছাত্রদের অভিভাবকদের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্য সরকার। আর সেই নির্দেশে সোমবার প্রত্যেক বিদ্যালয়ে এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ময়নাগুড়ির বেশ কিছু স্কুলে দেখা গেলো অভিভাবকদের পাশাপাশি ছাত্র -ছাত্রীরাও এই চাল ও আলু নিতে এসেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভিড় এড়ানোর কথা ঘোষণা করলেও স্কুলে স্কুলে ভিড় লক্ষ্য করা গেলো। ময়নাগুড়ির বেশ কিছু স্কুলে করোনা মোকাবিলায় যে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করার কথা ছিল তা সঠিক ভাবে পালন না করার অভিযোগ উঠেছে। অনেকক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষক মাস্ক এবং হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার না করারও অভিযোগ এনেছেন। ময়নাগুড়ির বেতগাড়া চারেরবাড়ি এলাকায় একই চিত্র দেখা যায়। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের অভিভাবক দীনবন্ধু রায় বলেন, ” করোনা রুখতে যে ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন রাজ্য সরকার। যেহেতু করোনা একটি সংক্রমণ ধর্মী রোগ। তাই স্কুলের উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা। চারেরবাড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় ভৌমিক বলেন, ” আমাদের যে নির্দেশ ছিল তাতে সোমবার এবং মঙ্গলবার এই চাল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে একদিনে শেষ করার কথা বলায় আমাদের আলুর যোগান একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের স্কুলে আসতে বললেও ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছেন। অনেকেরই অভিভাবক বাইরে কাজে গেছেন এবং আটকে আছেন। তাই তাদের আমরা ফেরাই নি। তাদেরকেই চাল আলু দিয়েছি। আমরা সবার জন্য স্যানিটাইজার হ্যান্ডওয়াশ এর ব্যবস্থা করেছি। হাত ধুয়ে পরিষ্কার হয়েই আমরা চাল আলু দিয়েছি।