জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৮শে মার্চ ২০২০, শনিবার : গোটা দেশে লকডাউন অবস্থা থাকলেও বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় জিনিসে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই ময়নাগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় কাঁচামালের দোকান খোলা রয়েছে। এই দোকানগুলিতে যাতে ভিড় এড়ানো যায় সেই কথা মাথায় রেখে শনিবার ময়নাগুড়ি থানায় প্রশাসনিক করা হয়। এই বৈঠকে ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি ও ময়নাগুড়ির ব্যবসায়িদের নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টস শেরপা, ময়নাগুড়ি থানার আইসি অসীম গোপ, ডিএসপি (ক্রাইম) বিক্রমজিৎ লামা, ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ঝুলন সান্যাল, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধক্ষ বিমলেন্দু চৌধুরী, মনোজ রায়, বাবলু রায় সহ ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তারা।
এদিনের এই বৈঠকে মূলত সবজি এবং মাছ বাজারকে অন্যত্র ফাঁকা জায়গায় স্থানান্তরিত করে জমায়েত এড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ময়নাগুড়ি শহরে যে সবজি এবং মাছ বাজার রয়েছে সেটিকে অস্থায়ী ভাবে লক ডাউন পর্যন্ত ময়নাগুড়ি ফুটবল মাঠে স্থানান্তরিত করা হবে। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, আজকে ময়নাগুড়ি থানায় প্রশাসনিক বৈঠক হলো এখানে আমাদের ব্যবসায়ী সমিতিকে ডেকেছে। এখানে জমায়েত এড়ানোর জন্য অস্থায়ীভাবে সবজি বাজার ও মাছ বাজার ফুটবল মাঠে স্থানান্তরিত করা হবে। আগামী রবিবার থেকে ফুটবল মাঠে অস্থায়ী বাজার বসবে। ময়নাগুড়ির প্রধান সজল বিশ্বাস বলেন, ময়নাগুড়ি বাজারে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। তাই ভিড়টাকে এড়ানোর জন্য বাজারকে অস্থায়ী ভাবে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী বলেন, করোনা মোকাবিলায় মানুষ ওয়াকিবহাল আছেন। তবুও ময়নাগুড়ি বাজারে ভিড় করছেন। এই ভিড়কে এড়ানোর জন্য আজকে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে ময়নাগুড়ি সবজি ও মাছ বাজারকে ময়নাগুড়ি ফুটবল মাঠে স্থানান্তরিত করা হবে। ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টসো শেরপা বলেন, আজকে ময়নাগুড়ি বাজারকে অস্থায়ী ভাবে ময়নাগুড়ি মাঠে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এই মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান বসানো হবে এবং সার্কেল করে দেওয়া হবে যাতে ভিড়টাকে এড়ানো যায়। ময়নাগুড়ির সাধারণ মানুষকে আবেদন করছি এই কয়েকটা দিন বাড়িতে থাকুন বিশেষ কারন ছাড়া বাজারে যাবেন না। তাহলেই আমরা করোনাকে হার মানাতে পারবো।