জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৬ই এপ্রিল ২০২০, সোমবার : প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা বারছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কিন্তু সাধারন মানুষ লক ডাউন মানছে না ঠিকঠাক। প্রতিদিন মানুষজন বাজারে কেনা কাটা করতে বের হচ্ছেই। আর এতেই সমস্যায় পরেছে প্রশাসন থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো। কেন মানুষ লক ডাউন ভেঙ্গে বাজারে বের হচ্ছে ? কেন মানুষ লক ডাউন মানছে না ? উত্তর নেই কারো কাছে। তাই ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোমবার থেকে বাজারের লাগাম ধরতে। এদিন ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, ব্যবসায়ী সংগঠন, হাট ব্যাবসায়ীরা একটি সিদ্ধান্ত নেয়, যে সোমবার থেকে ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সকাল ছয় টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত প্রতিদিনের মত জরুরি পরিসেবার দোকান খোলা থাকবে। তারপর সমস্ত দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। সব্জি, মুদিখানা, মাছ-মাংসের দোকানদারকে এদিন মাইকিং করে বলা হয়। যে সব দোকান এই নির্দেশিকা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে গ্রাম পঞ্চায়েত। ওদলাবাড়ি বাজার এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বাবু প্রধান বলেন, সাধারন মানুষ দিন দিন অভুজ হয়ে যাচ্ছে। বাজার করার বাহানায় কিছু মানুষ প্রতিদিন বাজারে আসছে এবং লক ডাউন ভাঙ্গছে। এতে সমস্যা বারছে। তাই বাজারে লোক জন যাতে কম আসে সেই জন্য বাজারের সমস্ত দোকান সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মালবাজারের তৃনমুল এর প্রত্তন ব্লক সভাপতি এবং সুভাষ পল্লী এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তমাল ঘোষ এদিন মাইকিং মাধ্যমে ব্যাবসায়ীদের জানান। তিনি আরো বলেন, যে সব ব্যবসায়ী এই নির্দেশ না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের পরে কোন দোকান খোলা থাকলে ও সেই দোকানে ভাংচুর বা অন্য কিছু হলে ব্যবসায়ী সংগঠন এবং গ্রাম পঞ্চায়েত দায়ী থাকবে না। কথা মত কাজ সোমবার দিন এই নির্দেশিকার পর দুপুর ১১ টার পর সমস্ত দোকানপাঠ বন্ধ হয়ে যায়। আর এতেই খালি হয়ে যায় বাজারে লোকজন। শুধু মাত্র ঔষধ দোকানই খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। অন্য দিকে মালবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা আগেই জানিয়েছেন প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত জরুরী পরিসেবার দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে ডেলি মার্কেটে ভীড় বাড়ছে প্রতিদিন। এখানে সামাজিক দুরত্ব পালন হচ্ছে।