18.2 C
New York
Tuesday, June 17, 2025

Buy now

spot_img

কমিউনিটি হলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করায় গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা বিক্ষোভ করে।

জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৮ই এপ্রিল ২০২০, বুধবার : ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বহু পরিয়ায়ী শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারান্টাইন এ রাখা হয়েছিল। মালবাজার মহকুমার বেশ কিছু স্কুলে খোলা হয়েছিল কোয়ারান্টাইন সেন্টার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়েছেন স্কুলে কোন কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা যাবে না। যে সব স্কুলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে তা অবিলম্বে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত মঙ্গলবার রাতেই কাজ সুরু করে দেয় পুলিশ প্রশাসন। এই রকম মালবাজার মহকুমার রাজাডাঙ্গা হাই স্কুলের কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে  ওদলাবাড়ি বিধান পল্লী এলাকায় একটি কমিউনিটি হলে নিয়ে আসে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পুলিশ প্রশাসন।  আর এতেই ঘটে বিপত্তি। রাজাডাঙ্গা থেকে ১৮ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের ওদলাবাড়ি কমিউনিটি হলে মঙ্গলবার রাতে নিয়ে আসলে এলাকার মানুষ বাধা দেয়। গ্রামের প্রচুর পুরুষ এবং মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে রাতেই ছুটে আসে মালবাজার মহকুমার এস ডি পি ও দেবাশিষ চক্রবর্তী, ওসি শুভাশিস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।  আসে মাল ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের বি এম ও এইচ প্রিয়াঙ্কু জানা এবং স্বস্থ কর্মিরা। প্রায় এক ঘন্টা ধরে এলাকারর মানুষের সাথে পুলিশের বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। এক সময় জোর করে পুলিশ কমিউনিটি হলে ঢোকার চেষ্টা করে। এতে এলাকার মহিলারা ক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার চ্যাচামেচি শুরু করে দেয়। এলাকার মানুষের দাবি, জনবহুল এলাকায় কেন প্রশাসন জোর করে  কোয়ারান্টাইন সেন্টার করছে। এই সেন্টারের চার দিকে প্রচুর মানুষের বসোবাস কিন্তু প্রশাসন গ্রামের মানুষের অসুবিধা করে জোর করে  এই কমিউনিটি হলে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করেছে। যে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা হয়েছে সেখানে কোন রকম সীমানা নেই। যখন তখন কোয়ারান্টাইন এ থাকা মানুষেরা বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। এখানে কোন ভাবে এই ভাইরাসের সংক্রামণ ছড়ালে তার দায় নিতে হবে পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরকে। কারন আমরা বাধা দিয়েছি কিন্তু পুলিশ আমাদের কথা শোনে নি। জানা গেছে ১৮ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের এই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এই শ্রমিকেরা গত ৮ দিন ধরে রাজাডাঙ্গা স্কুলে কোয়ারান্টাইনে ছিল। এব্যাপারে মালবাজার পুলিশের এস ডি পি ও দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, গ্রামবাসীরা প্রথমে বুঝতে পারে নি। তাই প্রতিবাদ করেছিল। আমরা গ্রামবাসীদের বুঝিয়েছি। গ্রামবাসীদের দাবী এই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে সিমানা প্রাচির করে দিতে। বুধবার আমরা এই কমিউনিটি হলের সামনে দিয়ে টিনের প্রাচির করে দেব। যাতে কোন ভাবে গ্রামের মানুষের অসুবিধা না হয়। পাশাপাশি সব সময় দুই জন পুলিশ এখানে থাকবে। তাই কোন ভাবেই এই শ্রমিকেরা কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে বাইরে বের হতে পারবে না।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!