জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৯ই এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার : ভাই এর হাতে খুন হল দাদা। মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি চাবাগানের চিরো লাইনের ঘটনা। মৃত দাদার নাম পান্ডু মুন্ডা(৩০) এবং মৃতের ভাই গান্ধী মুন্ডা(২৭)কে গ্রেপ্তার করেছে মালবাজার থানার পুলিশ। বুধবার রাতে এই ঘটনায় শোকস্তব্দ গোটা চাবাগান এলাকা। মৃতের এবং ধৃতের মা ললিতা মুন্ডা বলেন, আমার বড় ছেলে পান্ডু মুন্ডা প্রতিদিন মদ্যোপ অবস্থায় বাড়ি এসে ঝামেলা করতো। গালিগালাজ এবং সবার সাথে মারামারি করতো। গত সপ্তাহে নিজের বউ (জয়ন্তি মুন্ডা) কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে জয়ন্তি মুন্ডা তার ছোট্ট ছেলে নিয়ে এই চাবাগানে দিদির বাড়িতে থাকে। বুধবার রাতে আমার বড় ছেলে মদ্যোপ অবস্থায় বাড়িতে ঝগড়া শুরু করে। সেই সময় আমার ছোট ছেলে গান্ধী মুন্ডা বাড়িতে এলে তার সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়।
ছোট ছেলে প্রতিবাদ করলে তাকে মারতে যায় বড় ছেলে। সেই সময় ছোট ছেলে কোদাল দিয়ে বড় ছেলে মাথায় মারলে ঘটনা স্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যায় আমার বড় ছেলে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গান্ধী মুন্ডা বলেন, প্রতিদিনের ঝামেলা আর ভাল লাগে না। এমনিতে কাজ কর্ম নেই তার ওপর রোজ মদ্যোপ অবস্থায় বাড়ি এসে গালিগালাজ, মারামাড়ি করে দাদা। বুধবারদিন আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে হাসুয়া দিয়ে মারতে আসে। তাই নিজেকে বাচাতে দাদাকে কোদাল দিয়ে মাথায় মাড়ি। এরফলে ঘটনা স্থলেই দাদার মৃত্যু হয়েছে। দাদাকে খুন করার পর পালিয়ে যায় নি ভাই। পুলিশ এলে পুলিশের কাছে নিজেই আত্মসমর্পন করে গান্ধী মুন্ডা। এ ব্যাপারে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য প্রতাপ মুর্মু বলেন, বুধবার রাতে শুনতে পাই চাবাগানের চিরো লাইনে এক চা শ্রমিক খুন হয়েছে। এসে দেখি ভাই এর হাতে দাদা খুন হয়েছে। জানতে পেরেছি মৃত পান্ডু মুন্ডা রোজ মদ্যপান করে বাড়িতে অশান্তি করতো। আর সেই কারনেই এই খুন মনে হচ্ছে। পুলিশ এসেছে উনারাই খোজ নিয়ে সমস্ত বিষয় ক্ষতিয়ে দেখছেন। রাতেই মালবাজার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মালবাজার নিয়ে যায়৷ গ্রেপ্তার করা হয় মৃতের ভাই গান্ধী মুন্ডাকে। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।