18.5 C
New York
Wednesday, June 18, 2025

Buy now

spot_img

লকডাউন অগ্রাহ্য করে নামি সংস্থার নাম লেখা অ্যাম্বুল্যান্সে দেদার বিদেশি মদ পাচার। আটক অ্যাম্বুল্যান্স, গ্রেপ্তার ৩

মালদা : ১০ই এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার :  শুক্রবার সকালে হবিবপুর থানার আইহো এলাকার মালদহের নালাগোলা রাজ্য সড়কে নাকা তল্লাশির সময় একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে সন্দেহ হওয়ায় দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনের দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের। লকডাউনের সময় কাউকেই বিশেষ কারন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরনোর অনুমতি নেই। এমন অবস্থায়  লকডাউন অগ্রাহ্য করে অ্যাম্বুল্যান্সে চলছে দেদার বিদেশি মদ পাচার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দিল মালদহের হবিবপুর থানার পুলিশ। সারি সারি বিদেশি মদের প্যাকেট দেখে হতবাক পুলিশ কর্তারা। কীভাবে, কোথা থেকে বিপুল পরিমাণ এই মদগুলি মজুত করে পাচার চলছিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাগেছে শুক্রবার সকালে রোগী নিয়ে যাওয়ার অছিলায় মালদহের নালাগোলা রাজ্য সড়ক দিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স যাচ্ছিল। সেই সময় সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে নাকা তল্লাশি চলছিল। অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনের দরজা খুলতেই অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেখেন, নামীদামি কোম্পানির বিদেশি মদ রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সে। যার আনুমানিক বাজারদর প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা।

প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ওই অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল বাবলা সাহা, অভিজিৎ হালদার এবং বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তারা প্রত্যেকেই ইংরেজবাজার শহরের গয়েশপুর এলাকার বাসিন্দা। হবিবপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু মুখার্জি জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইহো এলাকা থেকেই অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাচারের চেষ্টা করা বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ পাচার করার সময় তিনজনকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, বর্তমানে লকডাউনের ফলে বন্ধ রয়েছে মদের দোকান। এই সুযোগে মদের দেদার কালোবাজারি করছেন অনেকেই। ঠিক সেভাবেই হবিবপুরের কোনও একটি মদের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ অ্যাম্বুল্যান্স করে পাচার করছিল ওই তিন যুবক। আইহো এলাকার রাজ্য সড়কে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশি অভিযানে তাদের পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, বিদেশি মদগুলি মালদহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। জেলা আবগারি দপ্তরের সুপার সুরক্তিম মুখোপাধ্যায় জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবিবপুর থানায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আধিকারিক পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় যদি কোনও লাইসেন্স থাকা ব্যবসায়ী জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!