জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১২ই এপ্রিল ২০২০, রবিবার : শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন জরুরী প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকবে কথা কিন্তু কোন ভাবেই যেন মানুষের বা জমায়েত না হয়। তবে কে কার কথা শোনে? মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরের দিন বাজারের যে ছবি দেখা গেল। সেই ছবি দেখলেই চক্ষু চরকগাছ হতে হবে সবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় নির্ধারিত সময়ে ছোট ছোট বাজার করার অনুমতি দিয়েছে, যাতে কোন রকম ভিড় না হয়। কিন্তু তাতেই ভিড় হচ্ছিল। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ভিড় এড়াতে শনিবার ওদলাবাড়ি বিধান পল্লীর ফুটবল মাঠে হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মাইকিং এর মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এই হাটের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু রবিবার এই হাটের যা ছবি দেখা গেল, তা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত সাধারন মানুষ। কারন এই হাটে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। তবে সব থেকে বড় কথা হল বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসেছে এখানে হাট করতে। গায়ে গা লাগিয়ে চলছে কেনাকাটা।
যেখানে বার বার বলা হচ্ছে জরুরি পরিসেবার দোকান খোলা রাখতে, সেখানে সব ধরনের দোকানই খোলা। সব থেকে বড় আতঙ্ক হল, যে মাঠে বিশাল হাট বসেছে তার পাশেই রয়েছে কোয়ারান্টাইন সেন্টার। যেখানে এখনো ২৫-৩০ জন কেরল ফেরত পরিয়ায়ী শ্রমিক রয়েছে। তবে এটা কে হাট বললে ভুল হবে, মেলা বলাই যেতে পারে। হাটের মধ্যেই গান গেয়ে টাকা তুলছে কিছু ভিন্ রাজ্যের মহিলা। চলছে টহলদারি, কিন্তু পুলিশের টহলদারিতেই হচ্ছে না কোন কাজ। কারন এত বড় হাট সামাল দেওয়া পুলিশের পক্ষে কঠিন কাজ। তাই লক ডাউন উপেক্ষা করেই চলছে পুরো দমে কেনাকাটা। কবে হুস ফিরবে সাধারন মানুষের মধ্যে এখন এটাই বড় প্রশ্ন। দুপুর নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ওদলাবাড়িতে। অযথা যারা ঘুরাঘুরি করছিলো তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। খালি করে দেওয়া হয় হাট। উপস্থিত ছিলেন মালবাজার পুলিশের ওসি শুভাশিস চক্রবর্তী এবং জয়েন্ট বিডিও ।