কোচবিহার : দিনহাটা : ১৩ই এপ্রিল ২০২০, সোমবার : অবশেষে দিল্লি থেকে রওনা দিয়ে ১২ দিনের মাথায় বাড়ি পৌছলেন বাদল হালদার। দিনহাটার বাসিন্দা পেশায় রড মিস্ত্রি কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন। লকডাউনের কারণে পায়ে হেঁটে, কিছু অন্যের গাড়ির সাহায্য নিয়ে, বিশ্রামাগারে রাত্রি যাপন করে নিজের বাড়িতে ফিরলেন বাদল। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের খলিশা গোসানীমাড়ি গ্রামের গোসানিমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদল হালদার। কাজের সূত্রে দিল্লিতে বিভিন্ন ঠিকাদার এর অধীনে রট মিস্ত্রির কাজ করতে।
দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দিল্লি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশদেয় প্রশাসন। শুধু তাই নয় প্রশাসন গাড়িতে করে কয়েক হাজার শ্রমিককে দিল্লির বাইরে নিয়ে গিয়ে অজানা জায়গা ছেড়ে দেয়। দিশেহারা হয়ে পড়ে বাদল হালদারের পাশাপাশি আসাম বিহার পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশকিছু রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শ্রমিকরা ছিল। লকডাউন এর মধ্যে সমস্ত পরিবহন বন্ধ থাকার ফলে কখনো হাঁটাপথে কখনো আলুর গাড়িতে কখনো বা কারও বাইকের সাহায্য নিয়ে ১২ দিনের মাথায় বাড়িতে পৌঁছালো দিনহাটার বাসিন্দা বাদল হালদার। দিল্লি থেকে বাড়ি আসার এই চরম অভিজ্ঞতা ভুলতে পারছেনা সে। বাদল হালদার জানায় বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও অনেক সহযোগিতা পেয়েছে খাবার পেয়েছি। আবার অনেক সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়িতে করে কিছু টা পথ এগিয়ে দিয়েছে। দিনভর হাঁটাপথে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়েছে। রাত কাটাতে হয়েছে বিশ্রামাগারে। অবশেষে ১২ দিন পর দিনহাটায় নিজের বাড়িতে পৌঁছেছেন তিনি। খবর পেয়ে মহকুমা প্রশাসন তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের সদস্যদের হোম করোন্টাইনে রাখে। ফলে বাজার ঘাট না করতে পারায় অসুবিধায় পরতে হয়। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।