জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২২শে এপ্রিল ২০২০, বুধবার : লক ডাউনের সময় অত্যাবশ্যক জিনিসের দোকান ছাড়া অন্য সব দোকান বন্ধ করতে বার বার বলছে প্রশাসন কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী সেই কথা কানেই দিচ্ছে না। আর এতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ বহু গুন বারার আশঙ্কা করছে সাধারন মানুষ। বুধবার দিন এরকমই ওদলাবাড়ির এক হোলসেলারের বাড়ি থেকে এরকম কিছু অপ্রয়োজনীয় পন্য বিক্রি করার অভিযোগ করলো স্থানীয় মানুষজন। আর এতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দা, সঞ্জু দে সরকার, বুড়ো দে -র বক্তব্য, লক ডাউনের পর থেকে ওদলাবাড়ির বিধান পল্লীর এক ব্যবসায়ী প্রতিদিন বাড়ি থেকে কুরকুরে, বিস্কুটসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করছে। আর এই সব কিনতে বাইরে থেকে লোক পাড়ায় ভিড় করছে।
বার বার বলেও কোন কাজ হচ্ছে না। আর বুধবার দিন সিকিম নাম্বারের একটি টাটা সুমো গাড়িতে এই ব্যবসায়ীদের বাড়ি থেকে এইসব জিনিস নেওয়ার সময় গ্রামের মানুষেরা আটকায়৷ চলে ওই ব্যবসায়ী সাথে গ্রামের মানুষের তর্কবিতর্ক। গ্রামের মানুষের দাবি, যে ভাবেই বাইরের গাড়ি পাড়ার মধ্যে এই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে মালপত্র নিচ্ছে তাতে যে কোন সময় করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ হতে পারে। যদি বিক্রি করতে হয় তাহলে বাজারে তাদের দোকান আছে সেখান থেকে বিক্রি করা হোক। এই ভাবে পাড়ার মধ্যে কোন ভাবেই অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করা চলবে না। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে মালবাজার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে কোন অপ্রয়োজনীয় জিনিস এই মুহূর্তে বিক্রি করা যাবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে হবে। এ ব্যপারে ওই ব্যাবসায়ী রাজকুমার গুপ্তা বলেন, আমি এক জন হোলসেলার। বিস্কুটসহ অত্যাবশ্যক পন্যই বিক্রি করছি। কিন্তু কিছুদিন যাবত কিছু ছেলেরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে, আমি বাড়ি থেকে জিনিস বিক্রি করতে পারব না। বাজারে আমার দোকান ছোট, তাই বাড়ির থেকে জিনিস বিক্রি করছি। তাছাড়া বাইরের কোন গাড়ি এখানে আসে নি। সিকিম নাম্বার লাগানো গাড়িটি পাথরঝোড়া এলাকার গাড়ি। তবে এই ব্যবসায়ীকে বিস্কুটের সাথে চিপস এবং কুরকুরের মত জিনিসও বিক্রি করতে দেখা গেছে। এলাকার মানুষদের বক্তব্য যখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস শুধু মাত্র খোলা থাকবে, তারপরো কেন এইসব অপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা রাখছে দোকানদারেরা। জানা গেছে বাজারে পান মশলা, গুটকা, চিপস কুরকুরের মত হোলসেল দোকান গুলোতে ভোর বেলা থেকে বহিরাগত মানুষেরা ভিড় করে, সেই সব জিনিস নিচ্ছেন। কারন ভোড় বেলায় পুলিশ থাকে না। তাই এলাকার মানুষের দাবি পুলিশ এইসব অপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান গুলো বন্ধ করুক। তাহলেই লক ডাউন সঠিক ভাবে পালন হবে।