উত্তর দিনাজপুর : ২4শে এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার : জানা গেছে,ইসলামপুর থানার পেঁয়াজ পোখরের বাসিন্দা মুক্তার আলম, স্ত্রী এবং তিন সন্তান থাকা সত্বেও বছর দুয়েক আগে করনদিঘি থানার রসাখোয়া গ্রামে সাবিনা খাতুন নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ বাধে। সন্তান সম্ভবা অবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে তারা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ইসলামপুর থানার আশ্রমপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনক্রমে চলছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা খাতুন।
তার স্বামী মুক্তার আলম ভরনপোষনের খরচ না দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এর মধ্যে সে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সদ্যজাত সন্তান এবং খাবার যোগার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্বামীর কাছে টাকা চাইতে গেলে বদলে জুটে মার। ফের টাকা চাইতে গেলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে তার দিনগুজরান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই স্বামী মেরে ফেলার নিজেই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা নেয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিকেলে ইসলামপুর থানার কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঘোরাফেরা করছিল সাবিনা। লকডাউনের মধ্যে ফাঁকা রাস্তায় এক মহিলাকে ঘোরাফেরা করতে দেখে ইসলামপুর থানার পুলিশের সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই আসল তথ্য উঠে আসে।পুলিশ তাকে বুঝিয়েসুঝিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে বাড়িতে রেখে আসে।