আলিপুরদুয়ার : ২৭শে এপ্রিল ২০২০, সোমবার : যে স্বাস্থ্য কর্মীরা এই করোনা সংকটের সময় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে দিন রাত লড়াই করছে, সেই স্বাস্থ্য কর্মীদেরই একজনকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিলো উর্দ্ধতনের খারাপ ব্যবহার । প্রাণের মায়া তুচ্ছ করেই তারা ‘ফিল্ডে’ গিয়েই এই প্রতিরোধ যুদ্ধে নেমেছেন । তাদের মধ্যেই এক এ এন এম’ কে নিয়ে ঘটে গেল শোরগোল ওঠানো ঘটনা । এক বি এম ও এইচ এর ‘দুর্ব্যবহার’ ও ‘অপমানজনক’ কথার আক্রমনের ভার সইতে না পেরে , নিজের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরেই ফ্যানে ওড়না বেঁধে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন উক্ত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী । সহকর্মীদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গেলেও আপাতত তিনি জেলা হাসপাতালের ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে’ চিকিৎসাধীন এবং তাঁর অন্যান্য সহকর্মীদের তরফ থেকে ঘটনার বিহিত চেয়ে অভিযোগের চিঠি গেছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ।
স্পষ্টতই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । এবং চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জেলা আলিপুরদুয়ারের তপসী খাতা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে । সূত্রের খবর , তপসী খাতা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মধীন এক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী , পদে একজন এ এন এম ( গোলাপি ইউনিফর্মে যাদের আমরা দেখে থাকি) , বছর বিয়াল্লিশের সেই মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী দিন কয়েক কাজে আসেন নি এবং আজ কর্মস্থলে এলে তাকে ডেকে ‘দুর্ব্যবহার ‘ , অপমান করেন সংশ্লিষ্ট বি এম ও এইচ , এমন অভিযোগই উঠে এসেছে । এমনকি তাকে পরিবার নিয়েও কটুকথা শুনতে হয় , অভিযোগ উঠেছে । অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরেই আত্মঘাতের চেষ্টা করেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী । সহকর্মীদের চোখে পড়ে প্রাণে বেঁচে আপাতত চিকিৎসাধীন । কি বলছেন এই ঘটনা সম্পর্কে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ? ডেপুটি সি এম ও এইচ ড: সুবর্ণ গোস্বামীর জানিয়েছেন কাজে আসেন নি ,কারন দর্শাতে বলা হয়েছে । তার জন্য কেউ আত্মহত্যা করে ?