আলিপুরদুয়ার : ২৯শে এপ্রিল ২০২০, বুধবার : আন্তঃ রাজ্য সীমানা সীল থাকলেও শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনকারী গাড়ির যাতায়াতের অনুমতি আছে। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অসম থেকে আসা একটি কন্টেনার লরির ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক অসম-বাংলা সীমানার পাকড়িগুড়ি চেকপোস্ট পার করে এসেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পাকড়িগুড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই কোচবিহার জেলার জোড়াই নাকা পয়েন্টে ওই লরি পৌঁছোনোর পরেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে বেড়াল। লরিটি দেখেই সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের। তল্লাশি চালানোর সময় লরির কেবিনের ভেতরে উঠতেই চোখ কপালে ওঠে পুলিশকর্তাদের।
দেখা যায়, বাইরে থেকে তালা বন্ধ করা থাকলেও, ওই কেবিন কেটে তৈরি করা হয়েছে একটি গোপন দরজা। সেখান দিয়ে পুলিশ লরির কন্টেনারে ঢুকতেই মালপত্রের সাথে গা ঢাকা দেওয়া ১৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের হদিশ মেলে। ভেতরে তোফা ব্যবস্থা। এ যেন এক ভ্যানিটি ভ্যান, শোবার জন্য বিছানা পানীয় জলের ব্যবস্থা এমনকি মোবাইল চার্জ করার জন্য ব্যাটারি কানেক্শন কি নেই। তাদের উদ্ধার করে জোড়াই পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে তাদের আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা পুলিশ ফাঁড়ির হাতে তুলে দেয় কোচবিহার পুলিশ। তড়িঘড়ি তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারোবিশা নবোদয় বিদ্যালয়ের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান ওই শ্রমিকদের করেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে আর যে নাকা চেকিংয়েই ধরা পড়ুক না কেন ধরা তো পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে অসম বাংলা সীমানার পাকড়িগুড়ি নাকা চেকিং পোস্টে চব্বিশ ঘন্টা একজন DSP পদমর্যাদার অফিসার নিযুক্ত থাকলেও এমন গাফিলতি কেন ঘটছে। তবে কি এতো আয়োজন শুধু মানুষের চোখে ধুলো দিতে।