জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৭ই মে ২০২০, বৃহস্পতিবার : এক দিকে করোনা আতঙ্ক। যার ফলে গৃহবন্দী সব মানুষ। আর এর মধ্যে তিস্তা বাধের লোহার জালি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল মালবাজার মহকুমার এডভান্স কলনী এলাকায়। গ্রামের মানুষ বুধবার এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে। অভিযোগের তীর এলাকার ব্যাবসায়ী শেরহাং লিম্বুর বিরুদ্ধে। এডভান্স কলনী এলাকার বাসিন্দা বিক্রম শৈব্য, রমেশ রায়দের অভিযোগ, গ্রামের পাশেই রয়েছে তিস্তা নদীর বাধ। গ্রামকে সুরক্ষা দেবার জন্য তিস্তা ব্যারেজ থেকেই বহু বছর আগে তৈরি হয়েছে এই বাধ। কয়েক বছর আগে সংস্কার হয়েছে বাধটি। বাধটিকে মজবুত রাখার জন্য পুরো বাধটির মধ্যে বড় বড় পাথর বসিয়ে লোহার জালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে বর্ষার সময়, বাধটি ড্যামেজ না হয়।
তবে রাতের অন্ধকারে বাধের বেশির ভাগ লোহার তারের জালি কেটে নিয়েছে দুস্কৃতিরা। আর এতেই বর্ষার সময় বাধ ভাঙ্গার আশঙ্কা করছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষের দাবী ওই সমস্ত লোহার জালি, দেখা যাচ্ছে স্থানিয় বাসিন্দা তথা ব্যবসায়ী শেরহাং লিম্বুর জমিতে। পুরো জমি বাধের লোহার জালি কেটে এই জমিতে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। এই খবর চাউর হতেই সকাল থেকে লক ডাউন ভেঙ্গে হাজির হয় বহু মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে মালবাজার থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে সকলকে দূরে সরিয়ে দেয়। তবে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শেরহাং লিম্বুর বলেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি এই সমস্ত লোহার জালি স্থানিয় এক ঠিকাদারের কাছ থেকে কিনেছি। আর সেই জালি আমার জমিতে লাগিয়েছি। আমি বাধের জালি লাগায় নি। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য শুশিলা মুন্ডা বলেন, নিজের জমিতে লোহার জালি লাগাচ্ছে ঠিক আছে কিন্তু বাধের জালি কেন লাগাবে শেরহাং লিম্বু। আমরা এর সুরাহা চাই। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ জানিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা সমস্ত বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছেন।