জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৯ই মে ২০২০, শুক্রবার : দিনের বেলায় লোকালয়ে চিতাবাঘ। বাড়ি থেকে দিনের বেলায় ছাগল নিয়ে গেল চিতাবাঘটি। লক ডাউনের কারনে প্রানে বাচলো গ্রামের মানুষ। কারন লক ডাউনের কারনে এলাকার মানুষ ঘরেই ছিলো। এই সুযোগে বাড়ির উঠোন থেকে ছাগল তুলে নিয়ে গেল চিতাবাঘ। মালবাজার মহকুমার রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধলাবাড়ি এলাকায় পদ্মশ্রী করিমুল হকের পাশের বাড়ির ঘটনা। আর এতে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।
খবর পাওয়া মাত্র করিমুল হক এবং এলাকার মানুষ পার্শ্ববর্তী চাবাগানে গিয়ে দেখে চিতাবাঘটি ছাগলটিকে মেরে ফেলেছে এবং চাবাগানের কোন এক জায়গায় ঘাবটি মেরে বসে আছে। গ্রামের মানুষেরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিতাবাঘ মারতে চাবাগানে ঢুকলেও, এলাকার পরিবেশ প্রেমী অনির্বান মজুমদারের বাধায় গ্রামবাসিরা চাবাগানের ভেতরে আর যায় নি। অনির্বান মজুমাদার গ্রামবাসিদের জানিয়েছেন, বন দপ্তরকে বলে ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি এলাকায় যাতে বাঘ ধরার খাচা পাতা হয় তার ব্যবস্থাও বন দপ্তরকে বলে করবেন। এদিন সকাল ১১ ,৩০ সময় নাগাদ করিমুল হকের ভাইয়ের বাড়িতে চিতা বাঘ ঢুকে একটি ছাগল তুলে নিয়ে যায় , কুয়ার পাড়ে কাজ করতে থাকা বৌমা দেখতে পেয়ে চিৎকারে পাড়ার লোক জড়ো হয় বাঘটি চাবাগানের মধ্যে ছাগলটি রেখে পালিয়ে যায়। এরপর ছাগলটিকে বাগান থেকে তুলে এনে তারা দেখতে পান ছাগলটি মৃত এবং গলায় বাঘের কামড়ে রক্তাক্ত দাগ রয়েছে। ছাগলটির মালিক সাকিনা খাতুন এর দাবি, এই দূরাবস্থার বাজারে আমরা আতঙ্কে আছি। বন দপ্তর এলাকায় খাচা পাতুক। করিমুল হক সাহেব সুরক্ষার উদ্দেশ্যে বনদপ্তর এর সাহায্য আবেদন করেছেন। তিনি জানান গ্রাম এলাকায় চাবাগান হওয়ার সুবাদে চিতাবাঘ একটি নয় কয়েকটি আছে কিন্তু গবাদিপশু ছাড়াও ছোট ছোট শিশুরা পাশের গ্রামের স্কুলে যায় যদিও বর্তমানে বন্ধ। আশেপাশে খেলাও করে শিশুরা। বাড়ি থেকে ছাগল যখন তুলতে পেরেছে, কখনো ছোট বাচ্চাদের উপরও হামলা চালাতে পারে। অবিলম্বে খাচা বসিয়ে বাঘ ধরে নিয়ে যাক বন দপ্তর। এদিন চাবাগান এলাকায় গ্রামের মানুষেরা টিন, থালা, বাশি বাজিয়ে চিতাবাঘকে চাবাগান ছাড়া করেন। যাতে আবার গ্রামে কারো বাড়িতে হানা না দেয়।