কোচবিহার : ১৮ই মে ২০২০, সোমবার : ধর্ষনে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের কনভেনার নুর আলম হোসেন কে দল থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিল জেলা নেতৃত্ব। গত ৯ই মে ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হলেও ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও চিঠির কোন উত্তর না পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের সাথে আলোচলা করে জেলা কমিটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোচবিহারে সাংবাদিক সন্মেলনে একথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন। সোমবার ফের সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। গত ৩রা মে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের কনভেনার তথা জেলাপরিষদের বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নূর আলোম হোসেনের বিরুদ্ধে এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দিনহাটা মহিলা থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেই শিক্ষিকা। এরপরই দিনহাটা থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তবে ঘটনার পর সেই অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কোচবিহার শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় কে পাশে বসিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ বর্মন সাংবাদিক সন্মেলন করে বলেন “এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হচ্ছে যে নুর আলম হোসেন কনভেনার সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তার কার্যকলাপ দলের ভাবমূর্তি পরিপন্থী এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুমোদন করে না। গত ৯ মে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে দলের পক্ষ থেকে তাকে শোকজ চিঠি প্রদান করা হয় তার উত্তর মেলেনি। এই কারণে আজ থেকে যতদিন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে না এবং কোর্ট থেকে সে ক্লিনচিট পাবে না ততদিন পর্যন্ত তাকে দলের সমস্ত পদ থেকে এমনকি সাধারণ সদস্যের পদ থেকেও অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করা হলো। আজ থেকে দলের সাথে তার কোন সংযোগ রইল না। রাজ্য নেতৃত্বের সাথে আলোচলা করে জেলা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”