জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৯শে মে ২০২০ : মঙ্গলবার : করোনা আতঙ্কে দেশ জুরে চলছে লকডাউন। সেই কারনে বন্ধ ডুয়ার্সের সব নদী এবং নদী থেকে পলি পাথর তোলার কাজ। আর এতেই সমস্যায় পড়েছে নদীতে কাজ করা শ্রমিক এবং ট্রাক চালক থেকে শুরু করে ট্রাক মালিকেরা। তবে এর মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্যাসার থেকে স্টক বালি পাথর পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন ভাবেই নদী থেকে মাইনিং করা যাবে না। প্রশাসনের এই নির্দেশিকায় বেশ কিছুদিন ধরে বহু ক্যাসার থেকে পালি পাথর ট্রাকের মাধ্যমে পরিবহন হচ্ছে।
মঙ্গলবার দিন মালবাজার মহকুমার সাত নাম্বার কলনীর বাসিন্দারা বহু বালি লোড ডাম্পার আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এলাকার মানুষদের বক্তব্য ডাম্পারগুলি প্রশাসনের কোন অনুমতি ছারাই বালি, গিটি (ছোট পাথর) পরিবহন করছে। প্রশাসন বলছে ডি এম এর অনুমতি নিয়েই চলছে এই ট্রাক বা ডাম্পারগুলো কিন্তু এই ডাম্পারগুলো কোন অনুমতির কাগজ দেখাতে পারে নি। সরকার আইন সবার জন্য সমান করুক। আমাদের মত বহু গাড়ি প্রায় ৬০ দিন ধরে বসে রয়েছে। অথচ বিভিন্ন ক্যাসার থেকে অনবরত বালি অন্যত্র পরিবহন হচ্ছে। আমরা না খেয়ে মোরছি অথচ ক্যাসার(পাথর ভাঙ্গার ফ্যাক্টারী) মালকরা ব্যাবসা করে যাচ্ছে। সেই কারনেই আমরা এই গাড়ি গুলো বন্ধ করে দিয়েছি। এব্যাপারে প্রশাসন দ্রুত ব্যাবস্থা নিক। এব্যাপারে ক্যাসার এবং ট্রাক মালিক রতন আগ্রায়াল বলেন, সরকারি নিয়মেই আমার ক্যাসার থেকে আমি বালি পাঠাচ্ছি। এব্যাপারে মালবাজার থানায় অর্ডার কপি জমা দিয়েছি। আমেদের স্টকে যা রয়েছে তাই পাঠাচ্ছি। নদী খনোন করে বলি পাথর তোলা হচ্ছে না। এই ভাবে কিছু লোক গাড়ি আটকে রাখলে ক্ষতির মুখে পরবো আমরা। বিভিন্ন অসমাপ্ত সরকারি কাজের বালি, গিটি সরকারি নিয়মেই পরিবহন করা হচ্ছে। তার পরো বাধার মুখে পরছি আমরা। এব্যাপারে প্রশাসন কে সব জানিয়েছি। এব্যাপারে মালবাজার পুলিশ জানিয়েছে সরকারি নিয়মেই এই গাড়িগুলো চলছে। যারা এই গাড়িগুলো আটকাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।