জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৬শে মে ২০২০ : মঙ্গলবার : সোমবার রাতে আচমকাই ঝড় আছড়ে পড়ে ময়নাগুড়ির বিভিন্ন এলাকায়। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ময়নাগুড়ি ব্লকের অংশের ৮ টি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিশেষত ময়নাগুড়ির আমগুড়ি, চারেরবাড়ি, দ্বারিকামারী, রথেরহাট, পাহাড়ের বাড়ি, দোমহনী ১ ও ২ শিঙ্গিমারী, লক্ষ্মীরহাট সহ বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ ছিল। সোমবার রাত ৯.৩০ মিনিট নাগাদ আচমকাই ঝড় এসে পড়ে। মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়েই ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা। জায়গায় জায়গায় রাস্তায় বড় বড় গাছ উপরে পরে, লোকালয়ে বাড়িতে রান্না ঘরে অনেকের বড় গাছ পরে নষ্ট হয়ে গেছে। চারেরবাড়ি এলাকায় বেশিরভাগ ছাপড়া বাড়ির চাল উড়ে গেছে ঝড়ে। অনেকের থাকার ঘরে মাঝ বরাবর গাছ পড়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। যদিও ঝড়ে ক্ষতির ফলে কোনো মানুষের ক্ষতি হয় নি।
চারেরবাড়ি এলাকার সুভাষ রায় বলেন, “রাতে আমার ঘরে একটি গাছ পরে যায়, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাই।” শশীভূষন রায় বলেন, “আনুমানিক রাত ৯.৩০ মিনিট নাগাদ ঝড় হয়। কয়েক মিনিটে সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গেলো। চারেরবাড়ি এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” কৃষি কাজের উপযুক্ত সময় হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষিকাজে। পাট, ধান, কলা প্রায় কয়েক কোটি টাকার কৃষিজ ফসল নষ্ট হয়েছে। ময়নাগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে কৃষিজ ফসল ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এই খবর জানতে পেরে পরিদর্শনে বের হন ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টস শেরপা, বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী, ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া, কৃষি কর্মাধক্ষ বিমলেন্দু চৌধুরী, সহ প্রমুখরা। কৃষি কর্মাধক্ষ বিমলেন্দু চৌধুরী বলেন, কৃষি কাজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা সমস্ত এলাকা দেখে জানতে পারবো কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, “মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে ময়নাগুড়িতে। এমনিতেই মানুষ বিভিন্ন ভাবে সমস্যাগ্রস্ত। তার মাঝেই এই ঝড় বিরাট আঘাত হেনেছে। কৃষিজ ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের এই সমস্যা তুলে ধরবো যেনো মানবিকতার রূপে তিনি সাহায্যে এগিয়ে আসেন।” এ বিষয়ে ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টস শেরপা বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পরিদর্শন করছি। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কয়েকটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আমরা সমস্ত বিষয় দেখেই ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করবো।