জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৩০শে মে ২০২০ : শনিবার : ইদানীং ডুয়ার্সে হাতির হামলার ভয় মানুষকে ব্যতিব্রস্ত করে তুলেছে একদিকে কৃষক ফসলের মূল্য পাচ্ছে না, অন্যদিকে রাতের বেলা কৃষি জমিতে হাতির তান্ডব অব্যাহত। এরকম শুক্রবার রাত ১১-৩০ টা,নাগাদ মাল ব্লকের ওয়াশাবাড়ী চা বাগান সংলগ্ন বাজার লাইনে ঘটেছে। হাতি রাত্রে ৫ দিন ধরে ঐএলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে। এই তান্ডবের ফলে এলাকার মানুষ বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন। গত ৭দিনের ভিতর ৩ বার ঘর ভেঙে ঘরের ভিতর রাখা ভূট্টা, ধান চাল সব সাবাড় করেছে। এর আগে চারবার হাতি তান্ডব চালিয়েছিল। কিন্তু বন বিভাগ বা স্থানীয় প্রশাসন কেউ দেখতে আসে নি। হাতির যদি কোন ক্ষতিহত তাহলে বনবিভাগ দ্রুত চলে আসে কিন্তু এখন আমাদের কেউ দেখছেন না। কেননা আমরা গরীব, বেশ ক্ষোভের সাথে একথা বললেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সীতা শর্মা। তিনি বলেন আমার স্বামী বিকলাঙ৷ কয়েক বছর আগে একমারর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এখন আমাকে সব কাজ করতে হয়। করতে হয় চাষ আবাদ। তিনি বলেন হাতির আক্রমনে যদি জীবন চলে যায় তা হলে এর জন্য দায়ী কে হবে।
সীতা দেবী বলেন এখন আমি ঘর কি করে বানাব। আয়ের উৎস ফসল তো হাতির পেটে। হাতে কোন নগদ পয়সা নাই। এখন কি ভাবে রোজগার করব আর কিভাবে স্বামীর চিকিৎসা করব। তিনি বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবী যে,অবিলম্বে ঘর মেরামত, কিছু আনাজ দেওয়া হোক।ব্যবস্থা করা হোক পথবাতির যাতে হাতি দেখলে মানুষ সতর্ক থাকতে পারে। স্থানীয় নিবাসী দুর্গা বিশ্বকর্মা বলেন বাচ্চারা, পড়াশোনা করতে পারে না। এই পাচ দিন ধরে বাচ্চারা, হাতির হামলার ভয়ে রাত্রে ঘুমাতে পারে না। হাতির এই ক্রমাগত হামলায় এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরী হয়েছে। এলাকাবাসীর সবার দাবী অবিলম্বে পথ বাতির ব্যবস্থা করা হোক। এটা হলে এলাকায় আলো থাকবে আর বাতি দেখে হাতি চলার পথ বদল করবে। পাশাপাশি এদিন চালসায় হাতির হামলায় ক্ষতি হয়েছে দুটিবাড়ি এবং কৃষিজমির ফসল।