মালদা : ২৭শে মে ২০২০ : বুধবার : এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীর ধানক্ষেত থেকে পঁচাগোলা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭শে মে বুধবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ ব্লকের আলঙ্গী গ্রামের মাঠে। মাঠে কাজ করতে যাওয়া কৃষকরা প্রথমে ওই ছাত্রীর পচা-গলা মৃতদেহ দেখতে পায় এবং পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ভালুকা ফাঁড়িতে খবর দেয় ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত ওই ছাত্রীর নাম মেহেরুন খাতুন (১৮)বাড়ি মালদা জেলা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রঙাইপুর গ্রামে। সে চিতলীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর। স্থানীয় বাসিন্দা মৃত ছাত্রীর পরিবার সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায়, গত দুদিন ধরে ওই ছাত্রী হঠাৎই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি নিখোঁজের দুদিন পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। এদিন সকালে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের আলঙ্গি গ্রামের মাঠে একটি ধানের জমিতেস্থানীয় কৃষকেরা পচা গলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এরপরই খবর দেওয়া হয় ভালুকা ফাঁড়িতে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় মৃত ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, নয় দিন ধরে নাবালিকাটি নিখোঁজ ছিল। এক জমি থেকে পোঁতা অবস্থায় তার পঁচাগোলা দেহ উদ্ধার হয় । প্রেম ঘটিত কারণে মেয়েটিকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছে পরিবারের সদস্যরা। এদিকে গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।
