জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৪ঠা জুন ২০২০ : বৃহস্পতিবার : কেরলের একটি ১৫ বছরের অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে গ্রামের মানুষ আনারস খেতে দেয়। আনারসটির ভেতরে ছিল বারুদ ভর্তি। খাওয়া মাত্রই বাজি গুলো তার মুখে ফেটে যায়। রক্তাক্ত হয়ে ওঠে সারা মুখ। বহু কষ্ট পেয়ে মৃত্যু হয় হাতিটির। সারা বিশ্ব মানুষে নিষ্ঠুরতা দেখেছে। পাশাপাশি এদিন মানুষের মানবিক মুখ দেখলো সবাই। বুধবার মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ির ক্রান্তি রোড এলাকায় একটি ডাম্পার(ট্রাক) একটি পথ কুকুরের পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। সেই কুকুরের পা-টি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। রাস্তার পাশেই যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে সেই কুকুরটি।
খবর পেয়ে রাতের বেলায় কুকুরটির দেখভাল করে স্থানীয় সেচ্চাসেবি সংগঠন নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সদস্যরা। এরপর সংগঠনের সদস্যরা রাতে বন দপ্তর থেকে শুরু করে স্থানীয় পশু হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করেও কোন লাভ না হওয়ায় রাত ১ টা নাগাদ সংগঠনের সদস্যরা গাড়ি ভাড়া করে সেই আহত কুকুরটিকে শিলিগুড়ির একটি পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। রাতেই শিলিগুড়িতে চিকিৎসা শুরু হয় কুকুরটির। নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৌম্য সেনগুপ্ত বলেন, রাতেই চিকিৎসা শুরু হয় কুকুরটি। তার পাটি বাদ দিতে হয়েছে ঠিকই কিন্তু জীবনটা বাচাতে পেরেছি আমরা। এখন ভালই আছে কুকুরটি। তিনি আরো বলেন, কেরালা হাতি মৃত্যু সত্যি নৃশংসতার শেষ সমানা। এই রকম মানুষও আছে, যারা নিষ্ঠুর বললেও কম হবে। আমাদের যেমন বাচার অধিকার আছে তেমন বন্য জন্তুদের ও বাচার অধিকার আছে। যারা এই জঘন্য কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হওয়া দরকার। উল্লেখ্য গত ৭০ দিন যাবত নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সদস্যরা প্রতিদিন রাতে পথ কুকুরদের রাস্তায় রাস্তায় রান্না করা খাবার দিয়ে আসছেন। নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে এই ভাবে নিয়মিত কুকুরদের খাবারের ব্যাবস্থা করছে তারা।