জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৫ই জুন ২০২০ : শুক্রবার : প্রতিদিন ঝাকে ঝাকে পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছে। আর এতেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে গ্রামের মানুষদের। কারন এই পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে বর্তমানে করোনা ছড়াচ্ছে বহু যায়গায়। বর্তমানে ৫ রাজ্য ছাড়া বাকি রাজ্য থেকে যে সব পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরছেন তাদের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে হোম কোয়ারান্টাইন এ থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর এতেই সংক্রামণ এর সংখ্যা বারার সম্ভাবনা বাড়বে বলে স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ। কারন বাড়িতে হোম কোয়ারান্টাইন অবস্থায় কোন শ্রমিক থাকলে পরিবারের সংস্পর্ষে যে কোন সময় আসবে। আর তখনই ঘটবে সংক্রামনের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়ারান্টাইন এ থাকার কথা বললেও গ্রামের মানুষেরা সেই ঝুকি নিতে চাইছে না। গ্রামের মানুষেরা নিজেদের উদ্যোগেই গ্রামে ফাকা জায়গায় তৈরি করছে হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টার।
এরকমই ছবি দেখা গেল মালবাজার মহকুমার মানাবাড়ি এলাকায়। গ্রামের মানুষেরা এখানে দুটি হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টার খুলেছে। চিকিৎসকেরা যে সব পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকার কথা বলছেন, গ্রামের মানুষ সেই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামের বাইরে তৈরি করা হোম কোয়ারান্টাইন এ রাখছেন। তাতে সংক্রামন কমবে বলে গ্রামের মানুষের দাবী। গ্রামের মধ্যে এই হোম কোয়ারান্টাইন হওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ির খাবার খেতে পাড়ছে। প্রয়োজনে দুরত্ব বজায় রেখে বাড়ির লোকের সাথে দেখা করতে বা কথা বলতে পারছে। আর এতে খুশি পরিযায়ী শ্রমীকেরা। এই এলাকায় যে দুটি হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টার আছে তাতে মহিলা এবং পুরুষদের থাকার ব্যাবস্থা আছে। এলার মানুষ পিনাকী ভৌমিক বলেন, প্রতিদিন বহু পরিযায়ী শ্রমিক আসছে। তাদের আমারা এই সব হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করেছি। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি নিয়েই। এদের কে ১৪ দিন রাখা হবে হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে। পাচ দিনের মাথায় তাদের লালারস পরীক্ষা হবে৷ রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই নিজ নিজ বাড়ি যেতে পারবে শ্রমিকেরা। এতে বাড়ির লোকেরা যেমন খুশি তেমনি এই সব পরিযায়ী শ্রমিকেরাও খুশি ৷