জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৮ই জুন ২০২০ : সোমবার : হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। মৃত ব্যাক্তির নাম পৌউলুস ওড়াও(৫২)। মালবাজার মহকুমার লিস রিভার চাবাগানের মিশন লাইন এলাকার ঘটনা। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এরপর স্থানীয় মানুষ মৃতদেহ আটকে রাত দুটো পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখায়। খবর পাওয়া মাত্র রাতেই ঘটনা স্থলে যায় তারঘেরা বন দপ্তর, চেল রেঞ্জ, মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফ এবং মালবাজার পুলিশ এবং ন্যাসের কর্ডিনেটার নফসর আলী। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে রবিবার রাত ৮ টা নাগাদ পৌউলুস ওড়াও বাড়ি বাইরে রাস্তার দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেই সময় একটি দাতাল হাতি তার দিকে তেড়ে আসে এবং তাকে শুর দিয়ে তুলে কিছুদুর নিয়ে গিয়ে আছড়ে মারে। অন্ধকার এবং বেহাল রাস্তার কারনে পৌউলুস ওড়াও পালাতে পারে নি। হাতি তখন পাউলুস ওড়াই কে মেরে ফেলে।
আর এতেই এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ঘটনা জানতে পেরে তড়িঘড়ি ঘটনা স্থলে যায় বন দপ্তরের আধিকারিকেরা এবং মালবাজারের বিশাল পুলিশবাহিনী। গ্রামের মানুষেরা মৃতদেহ আটকে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখায়। মৃতদেহ তুলতে বাধাদেয়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে মালবাজার থানার ওসি শুভাশিস চক্রবর্তী। গ্রামের মানুষ উত্তম কুজুর, শিরিস এক্কা বলেন, প্রতিদিন এলাকায় হাতির উপদ্রব লেগেই আছে। গ্রামের মানুষ সন্ধ্যা হলেই বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না হাতির ভয়ে। গ্রামের গরীব মানুষের জমির ফসল খেয়ে নিচ্ছে হাতির দল। কিন্তু বন দপ্তর কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। রাস্তায় নেই কোন আলোর ব্যবস্থা। রাতের বেলায় গ্রামে হাতি ঢুকছে কিন্তু অন্ধকারের জন্য কিছুই দেখা যাচ্ছে না। রাস্তাঘাট ভীষন খারাপ। হাতি এলে পালাবার উপায় নেই কারন গোটা রাস্তা পাথরে ভরা। এই সব কারনে আমরা মৃতদেহ তুলতে দিই নি বন দপ্তর বা পুলিশকে। গ্রামের মানুষের আরো অভিযোগ এর আগে হাতির আক্রমণে মৃত ব্যক্তি সম্পুর্ন ক্ষতিপুরন পায় নি। তাই এদিন সম্পুর্ন ক্ষতিপুরন দিয়েই মৃতদেহ তুলতে পারবে। তার আগে মৃতদেহ তুলতে দেওয়া হবে না। দফায় দফায় গ্রাম বাসীদের সাথে, বন আধিকারিকেরা, মালবাজার পুলিশ বৈঠক করে রাত দুটা নাগাদ সমস্যার সমাধান হয়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে মালবাজার পুলিশ। তারঘেরা রেঞ্জার শুভজিত মৈত্র বলেন, অনেক চেষ্টার পর গ্রামের মানুষকে বোঝানো হয়। রাতেই মৃতের পরিবারকে ২০০০০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। বাকি ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মৃতদেহ ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।