জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১২ই জুন ২০২০ শুক্রবার : এক দিকে কোরনা আতঙ্ক, অন্য দিকে চাবাগানের রাস্তাঘাটে ঘুরে বেরাচ্ছে চিতাবাঘ। আর এতেই সমস্যায় মালবাজার মহকুমার বেদগুড়ি চাবাগান কতৃপক্ষ এবং শ্রমিকেরা। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের বন কর্মিরা। বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কল্যান প্রধান বলেন, করোনা আতঙ্কের মধ্যে শ্রমিকেরা রয়েছে। তার ওপর আরো আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে চিতাবাঘ। এতদিন রাতের বেলায় দেখা যেত চিতাবাঘ আর এবার দিনের বেলায় রাস্তায় ঘুরাঘুরি করছে চিতাবাঘ। পরপর দুদিন চিতাবাঘ দেখা গেছে কয়েকটি সেকসনে।
শ্রমিকেরা কাজে যেতে ভয় পাচ্ছে। উল্লেখ্য গত ১০ দিন আগে এই বাগানে চাপাতা তোলার সময় চিতাবাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত হয় এক মহিলা চা শ্রমিক। বর্তমান ওই শ্রমিক অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসেছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের বক্তব্য, এই ভাবে চিতাবাঘের উপদ্রব বেরে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পরেছি। বাগানের শ্রমিক দীলিপ ওড়াও, রাজকুমার শা বলেন, চাবাগানের বড় বাংলোর পাশে চলে এসেছিল বড় চিতাবাঘ। ফটকা (বোম্ব) ফাটিয়ে চিতাবাঘটিকে এলাকা ছাড়া করি। বন দপ্তরের পক্ষ থেকে ফটকা দিয়েছে, চিতাবাঘ তাড়ানোর জন্য। দিনের বেলায় যে ভাবে ঘুরে বেরাচ্ছে চিতাবাঘ তাতে রীতিমতো শ্রমিকেরা আতঙ্কিত। তাই এখন কাজে যাবার আগে বাগানের বিভিন্ন সেকসনে বোম্ব ফাটিয়ে কাজ করছে শ্রমিকেরা। যাতে কোন চাবাগানের ঝোপের মধ্যে চিতাবাঘ ঘাপটি মেরে বসে থাকলে বোম্বের শব্দে পালিয়ে যাবে। মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের কর্মি নিতাই বিশ্বাস ঘটনা স্থলে আসেন। শ্রমিকদের বাঘ তাড়াতে ফটকা দেন। দিনের বেলায় বাঘ এলে কি কি করতে হবে তা বোঝান শ্রমিকদের। জানা গেছে এই চাবাগানের পাশেই রয়েছে লাটাগুড়ি এবং তারঘেরা জঙ্গল। বর্তমানে খাবারের সন্ধ্যানে চলে আসছে চাবাগান এলাকায়। আর এতেই আক্রান্ত হচ্ছে শ্রমিকেরা।