জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১২ই জুন ২০২০ শুক্রবার : প্রতিদিন রাজ্যে আসছে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক। আর এই শ্রমিকদের থেকে ছরাচ্ছে করোনা ভাইরাস। মালবাজার মহকুমায় এই ভাবেই প্রতিদিন আসছে পরিযায়ী শ্রমিক। ৫ টি সেনসেটিভ রাজ্য ছাড়া অন্য রাজ্য থেকে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক মালবাজার মহকুমায় আসছে তাদের হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকার কথা বলছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে গ্রামের মানুষেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকতে বাধা দিচ্ছে। সেই কারনে এই সব শ্রমিকদের গ্রামের বিভিন্ন স্কুলে হোম কোয়ারান্টাইন এ রাখা হয়েছে। এরকম ছবি দেখা গেছে মালবাজার ব্লকের ক্রান্তি দেবীঝোড়া হাই স্কুলে রয়েছে প্রায় ৯০ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এই সব স্কুলের হোম কোয়ারান্টাইন ঠিকঠাক খাবার পাচ্ছে না বলে শ্রমিকদের অভিযোগ, সেই কারনে বৃহস্পতিবার এই শ্রমিকেরা কোয়ারান্টাইন থেকে বেরিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখে। দেবীঝোড়া হাইস্কুলে হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আবাসিকরা বিক্ষোভ দেখায়। সেন্টার থেকে আবাদিকরা বেরিয়ে এসে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখায়। তারা এখানে সমস্ত সরকারী সুযোগ পাওয়ার দাবী করেন। এরপর ঘটনা স্থলে আসে পদ্মশ্রী করিমুল হক এবং ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ। প্রায় দেড় ঘন্টা রাস্তা অবরোধ থাকার পর করিমুল হক এবং পুলিশ তাদেরকে বুঝিয়ে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে ঢোকান। বৃহস্পতিবার করিমুল হক বলেন শুক্রবার থেকে এই সব হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের খাওয়াবেন তিনি। এরপর শান্ত হয় শ্রমিকদের আন্দোলন।
শুক্রবার করিমুল হক দলবল নিয়ে চলে আসে ক্রান্তি এলাকায় দুটি হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে। সকালের নাস্তার পাশাপাশি দুপুরে ভাত, ডাল, সব্জি, ডিম খাওয়ান তিনি। তবে রাতের খাবার দেবে স্থানিয় এক ব্যবসায়ী। করিমুল হক বলেন, যত দিন এই পরিযায়ী শ্রমিকেরা হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকবে, ততদিন তিনি এই শ্রমিকদের খাওয়াবেন। বর্তমানে ক্রান্তির দুটি হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে প্রায় ১৩৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। করিমুল হকের এই উদ্যোগে খুশি সাধারন মানুষ।