জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ই জুন ২০২০ রবিবার : লক ডাউন উপেক্ষা করেই চিতাবাঘ দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পরলো তাও আবার বেশির ভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। মালবাজার মহকুমার গুড হোপ চাবাগান এলাকার ঘটনা। মালবাজার মহকুমার গুড হোপ চাবাগানে বেশ কিছুদিন যাবত চিতাবাঘ এর উপদ্রব লেগেই আছে। কখনো আহত হচ্ছে শ্রমিকেরা, কখনো শ্রমিক পরিবারের ছেলে মেয়েরা, আবার কখনো শ্রমিক মহল্লা থেকে চিতাবাঘ তুলে নিয়ে যাচ্ছে গৃহ পালিত ছাগল, বাছুর, শুকর। এরপর শ্রমিকদের কথা মত এই চাবাগানে গত ১৫-২০ দিন আগে দুটি সেকশনে ছাগলের টোপ দিয়ে দুটি খাচা পাতে মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের বন কর্মিরা। আর রবিবার ভোরে সেই ছাগল খেতে এসে খাচা বন্দি হয় পুর্ন বয়স্ক বিরাট পুরুষ চিতাবাঘ৷
এত বড় চিতাবাঘ এই এলাকায় আগে দেখা যায় নি বলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন। খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে ছুটে আসে মালবাজার ওয়াইল্ড লাইফের বিট অফিসার রাজকুমার শা এবং নিতাই বিশ্বাস। এদিন এদিন চিতাবাঘ টি খাচার মধ্যে দাপাদাপি করায় মুখে আঘাত লেগেছে। সেই কারনে মুখের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত হয়েছে। তাই এই চিতাবাঘ দেখতে ভোর বেলা থেকেই বহু লোক সামাজিক দুরত্ব না মেনেই ভিড় চাবাগানে। এমনিতেই রবিবার ছুটির দিন তাই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হল চাবাগান কতৃপক্ষ এবং বন দপ্তরকে। এত ভিড় যে, খাচা বন্দি চিতাবাঘটিকে গাড়িতে তুলতে বেগ পেতে হয় বন কর্মিদের। বন আধিকারিকেরা জানিয়েছেন বেশ বড় এই চিতাবাঘটি ৷ বর্তমানে গরুমারায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করে, সুস্থ্য থাকলে গরুমাড়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। শ্রমিকদের অভিযোগ এই চাবাগানে আরো চিতাবাঘ আছে। তাদের দাবী বনদপ্তর যেন আবার খাচা পাতে এই চাবাগানে। এদিন গুডহোপ চাবাগানের শ্রমিক রাজু লোহারা বলেন, বাগানে সি ফাইভ সেকসনে খাচা বন্দি হয় চিতাবাঘটি। এখন শ্রমিকেরা খুব খুশি। এখন থেকে শ্রমিকেরা শান্তিমত চাবাগানে কাজ করতে পারবে।