কোচবিহার : তুফানগঞ্জ : ২২শে জুন ২০২০ সোমবার : লকডাউনের প্রভাব পরেছে কুমোরটুলিতে। থমকে পড়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। লকডাউন থাকায় শিব, গণেশ, লক্ষ্মী,কালী, লোকনাথ ঠাকুরের প্রতিমা তৈরি করেও বিক্রি হয়নি। মাত্র ৪ মাস বাকি দূর্গা পুজোর কিন্তু এখনও বায়না হয় নি। অপেক্ষায় দিন গুনছেন প্রতিমা শিল্পীরা। চিন্তায় মাথায় হাত পরেছে শিল্পীদের।
এই পরিস্থিতিতে শিল্পীদের একটাই দাবি প্রশাসনিক সহযোগিতা। তুফানগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে চিলাখানা ১ নম্বর গ্রাম পাঞ্চায়েতের পাল পাড়ার প্রায় ২০ টি পরিবার বংশ পরম্পরায় প্রতিমা শিল্পের সাথে যুক্ত। প্রতিমা তৈরি করেই চলে তাদের রুজি রুটি। বর্তমানে লকডাউনের কারণে তারা খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। বায়না হওয়ার পর ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে মুলধন খাটিয়ে দিন রাত এক করে প্রতিমা তৈরি করেও পুজো না হওয়ায় সেই প্রতিমার বায়না বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাথায় হাত শিল্পীদের।
এ বিষয়ে প্রতিমা শিল্পীরা বলেন, লোকডাউনের আগে যে অর্ডার নেওয়ার পর লকডাউনের কারণে পুজো সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খরিদ্দার এসে না করে দিয়ে গেছে। যেহেতু লকডাউন চলছে তাই পুজো হবে না। দুর্গাপূজার ৪ মাস বাকি কাজ টুকটাক আরম্ভ করেছি। আদৌ পূজা হবে কিনা তা বলা মুশকিল। এখনো কোন দূর্গা প্রতিমার অর্ডার হয়নি। আমাদের খুব সংকট চলছে। এখন পরিস্থিতি খুব খারাপ, ফ্যামিলি ও স্টাফ চালানোই মুশকিল। করোনা মহামারীতে লকডাউনের কারণে পুজোপালি সব বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের এই সিজেন মার গেলে সংসার চালানোয় মুশকিল হয়ে যাবে। হাতে যা ছিল খাওয়া-দাওয়া করে সবশেষ। দুর্গাপূজা যদি নাই হয় তাহলে বাচ্চা পরিবার নিয়ে মাঠে মারা যেতে হবে।