জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৪শে জুন ২০২০ বুধবার : অবশেষে মৃত্যু হল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির। মঙ্গলবার সকালে মাল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পোলিও সেন্টারের বারান্দায় মৃত্যু হল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির। এরপর মালবাজার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কে বা কাহারা এই বয়স্ক রোগীকে সকলের অলক্ষ্যে গ্রামীন হাসপাতাল চত্বরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।স্বাস্থ্য কর্মীদের নজরে আসার পর অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু রবিবার রাতে ওই ব্যাক্তি হাসপাতালের শয্যা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসে পোলিও টীকা কেন্দ্রের বারান্দায় এসে আশ্রয় নেন। সেখানেই মল মূত্র ত্যাগ করায় দূর্গন্ধে কেউ আর তার সামনে যেতে পারছেন না। প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে পোলিও টীকা কেন্দ্রের কাজকর্ম। যদিও এরই মাঝে ওই ব্যক্তিকে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্মিরা জানিয়েছিলেন। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, পরিবারের লোকজনই ওই বৃদ্ধকে হাসপাতাল চত্বরে ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছে। বর্তমানে ওই বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে মনে করছেন চিকিৎসক। অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসা পরিসেবার জন্য তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছিল হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তবে মেডিকেল এ পাঠানোর আগে মঙ্গলবার সকালে পোলিও সেন্টারের বারান্দায়ই মারা যায় ওই ব্যক্তি।
মালবাজার ব্লকের বি এম ও এইচ প্রিয়াঙ্কু জানা বলেন, সকালেই মারা যায় ওই ব্যক্তি, তবে নাম পরিচয় জানা যায় নি। মালবাজার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশ মৃতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। বি এম ও এইচ, আরো বলেন, এই ভাবে এর আগে বহুবার এধরনের রোগীকে কেউ বা কারা হাসপাতাল চত্তরে রেখে চলে যায়। এটা ভারি অন্যায়। যখন কোন রোগীকে হাসপাতালে আনবে, তখন অন্তত এক জন রোগীর সাথে থাকা দরকার। রোগীকে বেডে রেখে দিলে যে কোন সময় এই সব রোগী বেড থেকে পরে যেতেও পারে। সেই জন্য এক জন রোগীর সাথে থাকা খুব জরুরী। তাতে রোগীর চিকিৎসা ঠিকঠাক হয়। যে মানুষটি মারা গেলো, তা দেখভালের অভাবেই। এই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কিন্তু রোগীর দেখভালের কেউ না থাকায় বারে বারে বেড থেকে নেমে বাইরে বেরিয়ে আসছিলো। এই ভাবে বেড থেকে নেমে পলিও সেন্টারের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছিল। সকালে মারা যায় ওই ব্যক্তি।