জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৫শে জুন ২০২০ বৃহস্পতিবার : মানুষের বিপদ একটার পর একটা। একদিকে করোনা আতঙ্কে জেরবার, তার উপরে বে-রোজগারি মানুষকে ফেলেছে বিপদ ও দুশ্চিন্তায়। এই দুই বিপদের মাঝখানে ধাপে ধাপে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষ হয়ে পড়েছে দিশাহীন। ওদলাবাড়ীর কাছে ঘীস নদীর কাছে শিলিগুড়ীগামী ৩১ নং জাতীয় সড়ক প্লাবিত। থমকে গেছে যাতাযাত ব্যবস্থা।গাড়ীর চালক ও যাত্রীরা দুশ্চিন্তায়। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল প্রবল জলরাশি বন্যার জলের মত রেল লাইনের পাশে জমিকে প্লাবিত করে ৩১ নং জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বয়ে যেয়ে রাস্তার ডান পাশে বিস্তীর্ন কৃষি জমি প্লাবিত করেছে। বুধবার রাত্রে পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় নদীর জলরাশি রেলওয়ে আন্ডারপাস, রুমতি খোলা থেকে নির্গত জল রাশি প্রচুর এলাকা প্লাবিত করেছে। এই জল জাতীয় সড়ককে ডুবিয়ে পার হয়ে রাস্তারঁ বাদিকে ধাবিত।
ঘীসব্রীজ থেকে ২০০ মিটার পশ্চিমে এই নদীর জল সৃষ্টি করেছে বন্যার পরিস্থিতি। রাস্তা জলের তলায়। দুই দিকে স্তব্ধ যানবাহন। উভয় দিকে সারি সারি গাড়ী দাড়িয়ে। কেউ ঝুকি নিয়ে পার হতে চাইছে না। নিত্যযাত্রীরা অসহায়। রাস্তা নদীর জলের নীচে থাকায় ভয় যাচ্ছেনা গাড়ী চালকরা। স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল সরকার ও ফিরোজ খান বলেন প্রতি বৎসর বর্ষার সময় এই একই অবস্থা হয়। কয়েকবছর ধরে এরকম চলছে। তারা বলেন, ঘীস নদীর জল নিমতিঝোরার, সাথে মিশে, গতি সঞ্চার করে এই পরিস্থিতি। ইঞ্জীনিয়াররা আসেন আর দেখে যান, কিন্তু কিছুই হয় না। এই ভাবে বছর চলে যায়। বছরের পর বছর নদীর জলে রাস্তার দুই পাশে সিলট্রেশন হওয়ায় নদীর চর দুইদিকে রাস্তার থেকে উচু হয়ে গেছে। আবার পরের বছর সেই অবস্থা। আসল কথা, ঘীস ব্রীজ থেকে রাস্তা উচু করে চাঁদমারির কাছে জাতীয় সড়কে না মেলালে এই অবস্থা হবে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরী। অস্থায়ী সমাধান বিপদ বাড়ায়। আজকের এই বন্যায় অনেক কৃষকের খেত বিনষ্ট হয়েছে। জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষকে এই বিষয় ভাবতে হবে। স্থায়ী সমাধান না হলে ভবিষ্যতে ভয়ংকর বিপদ দেখা দেবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ বিষয়ে জাতীয় সড়কের সহকারী বাস্তুকার সুব্রত সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে সব কিছু দেখা হয়েছে। দপ্তর আরও পর্যবেক্ষন করে একটা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে। তবে ৩১নং জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ এবার স্থায়ী সমাধান করতে চান এই সমস্যার।