জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১২ই জুলাই ২০২০ রবিবার : টানা বৃষ্টির ফলে তিস্তা ও জলঢাকা নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন প্রায় শতাধিক পরিবার। প্রতি বছর বর্ষায় নদীর জল বেড়ে যায়। ফলে নদীর জল ঢুকে পড়ে বাড়িতে। এবারও জলঢাকা নদীর জল নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে ।
ফলে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতগাড়া খড়িবাড়ি এলাকার শতাধিক মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে ভারী বর্ষনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে। ইতিমধ্যেই জলঢাকা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টি শুরু হতেই জল বেড়ে চলেছে জলঢাকা নদীতে। ফেলে প্রায় শতাধিক বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, ঢুকে পড়েছে রান্না ঘরে । এই অবস্থায় রান্না করে খাওয়ার মতো কোনো রকম ব্যবস্থা নেই ওই পরিবারগুলির। জল ওঠায় কার্যত সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে রান্না। শুকনো খাবার খেয়েই দিন গুজরান করছেন তারা। অনেক এলাকায় জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল অধিকারী বলেন, আমাদের এখানে যাতায়েত এর জন্য একটা বাঁশের সাঁকো ছিলো সেটা জলে ডুবে গিয়েছে ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন এখনো পর্যন্ত স্থানীয় পঞ্চায়েত এসে এলাকা পরিদর্শন করেননি। স্থানীয় বাসিন্দা ভবানু রায় বলেন, আমাদের রান্না ঘরে জল উঠেছে। সকাল থেকে রান্না হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত এখনো আমাদের এখানে এসে দেখে যাননি। স্থানীয় বাসিন্দা নিরোমনি রায় বলেন, বাড়ি ভর্তি নদীর জল উঠেছে। এদিকে আমাদের রান্নার গ্যাস নেই, খুব সমস্যা হচ্ছে রান্না করে খাওয়া। পঞ্চায়েত সদস্য একবারও এসে দেখে গেলেন না আমাদের এই সমস্যা। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা জ্ঞানদা রায় বলেন, আমি গিয়েছি ওই এলাকাগুলি। সবার বাড়ি যাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে আমি এই বিষয় গুলি উপর মহলে জানিয়েছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এই বিষয়ে আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায় বলেন, আমরা পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলিকে আপাতত কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করেছি। জল খুব বেশি উঠলে তাদের সেখানে আনা হবে। আমরা বিডিওকে এই বিষয়ে জানিয়েছি যদি কোনো রকম ত্রাণের ব্যবস্থা করা যায়। ময়নাগুড়ি ব্লক সেচ আধিকারিক সমীর কুমার বর্মন বলেন, জলঢাকা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। আমরা চব্বিশ ঘন্টাই নজর রাখছি নদীগুলিতে। প্রতিনিয়ত রিপোর্ট উপর মহলে পাঠানো হচ্ছে।