জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২০শে জুলাই ২০২০ সোমবার : সমগ্র মাল ব্লক জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রামণ ঘটছে মৃত্যু। এতেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে মাল ব্লকের শহর থেকে চাবাগান সর্বত্র। গত এক সপ্তাহ ধরে যে ভাবে মালবাজার শহর ও আশেপাশের এলাকায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাতে সাধারন মানুষের উদ্বেগের ছাঁয়া ফেলেছে। রবিবার রাতে মালবাজার শহরে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌছায় তাতে শহরের একাধিক ওয়ার্ডে নতুন করে ১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রামণ ধরা পড়ে। এনিয়ে গত ৬দিনে মালবাজার শহরে ৩৮ জনের শরীরে সংক্রামণ ধরা পড়েছে। গত ১২ জুলাই মালবাজার শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এক করোনা সংক্রামিত মহিলা মারা যায়। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ১৯ জুলাই ওদলাবাড়ি শহরে এক করোনা সংক্রামিত ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। একদিকে সংক্রমণ বাড়ছে অন্যদিকে ঘটছে মৃত্যু। এই দুই ঘটনায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। মালবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে সেই কারনে ১ সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে মাইকিং করা হয়েছে। সোমবার নতুন করে ১৮ জনের সংক্রামনের খবর আসতেই শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত শহরে সংক্রামিতদের সীমাবদ্ধতা ছিল শুধু মাত্র ১২, ১৩, ৭ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। সোমবার সকালে যে নতুন করে ১৬ জনের সংক্রামণ ঘটেছে তারমধ্যে নতুন করে ৫, ৪, ৩ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দেখা গেছে। শুধু মালবাজার শহর নয়, শহর সংলগ্ন রাঙ্গামাটি চাবাগান ও তেশিমলা এলাকায় দুই জনের নতুন করে সংক্রামন ধরা পড়ে। এই দুইজন হাসপাতালের সিকুরিটি গার্ড। শহর ও তার সংলগ্ন এলাকায় নতুন করে ১৮ জনের সংক্রামণ পাওয়ার খবরে শহরের বাসিন্দাদের স্নায়ুর চাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। শহরের মানুষ নিজেকে বাড়ির মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছেন। সোমবার সকাল থেকেই রাস্তাঘাট হাটবাজার জনমানব শূন্য দেখা গেছে। জাতীয় সরকে যানবাহন চলাচল করলেও শহরের ভিতরের রাস্তা, অলিগলিতে মানুষ চলাচল খুবই কম ছিল। মাল পৌরসভার প্রশাসক স্বপন সাহা বলেন, সংক্রামিতদের দ্রুত কোভিদ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংক্রামিত এলাকায় স্যানেটাইজড করা হচ্ছে। লক ডাউন আরো সাত দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার যে ৪০ জনের লালারস পরীক্ষা হয়েছিল সোমবার বিকেলে তাদের মধ্যে ১২ জনের পজেটিভ আসে। গত রবিবার ওদলাবাড়ির যে ব্যাক্তি শিলিগুড়ির এক বেসরকারী হাসপাতালে মারা গেছে সেই পরিবারের তিন জন আক্রন্ত। এছাড়া ডামডিম এলাকায় দুজন এবং মিনগ্লাস চাবাগান এলাকায় ২ জন পজেটিভ হয়েছে। ওদলাবাড়ি ডিপো পাড়া এলাকায় এক আশা কর্মি এবং উনার স্বামীর রিপোর্ট পজেটিভ। ওদলাবাড়ি হাসপাতালেত এক অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং সুভাষ পল্লী এলাকায় শনিবার যে ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হন, উনার স্ত্রীর রিপোট পজেটিভ আসে।